জামাই বিদেশ বলে ঘরে ডেকে আনতো ব্যবসায়ীদের, অতঃপর…
দোকানের বাইরে টাঙানো সাইনবোর্ড থেকে সংগ্রহ করা হয় নম্বর। এরপর সেই নম্বরে ভাব জমায় ২৪ বছর বয়সী শরমিন আক্তার। ভাব জমিয়ে ‘জামাই বিদেশ’ বলে ব্যবসায়ীদের ডেকে আনা হতো ঘরে। এসময় সুযোগবুঝে আপত্তিকর ভিডিও, মারধরের মুখে জিম্মি করে বাকিরা হাতিয়ে নিতো টাকা।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শারমিনসহ এই চক্রটির তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন— আবু জাফর ওরফে জুয়েল, মো. নাসির উদ্দীন।
নগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ব্যবসায়ীদের দোকানে লেখা নম্বর ও ব্যক্তিগত নম্বর সংগ্রহ করে। পরে সেই নম্বরগুলো সিন্ডিকেটের নারী সদস্য শারমিনকে দেয়। আর শারমিন সেই নম্বরে কল দিয়ে বিভিন্ন কথা বলে। এক পর্যায়ে ওই নারী তার স্বামী প্রবাসে থাকে জানিয়ে সম্পর্কের জালে ফেলে বাসায় ডাকে টার্গেট করা ব্যবসায়ীদের।
তিনি আরও বলেন, এরপর বাসায় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বাকি ৩-৪ জন সদস্য একটি রুমে টার্গেট করা ব্যক্তিতে আটকে মারধর করে। পরে সেই মারধরের ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করে। আর না দিলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। তেমনি তাদের জালে পড়ে এক ব্যবসায়ী। সেই ব্যবসায়ী বাসায় ডেকে নিয়ে একইভাবে জিম্মি করে। একইসঙ্গে তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা দাবি করে তারা। এছাড়াও পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ জানালে মারধরের ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় চক্রের সদস্যরা। পরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নামে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় চালানো অভিযানে ধরা পড়ে চক্রের এ তিন সদস্য। তাদের মধ্যে এ চক্রের লিডার আবু জাফর ওরফে জুয়েল।