বিনোদন

জায়েদ খান বললেন ‘সুন্দর সময়টা কাজে লাগাচ্ছি’

সদ্যই দুবাই মাতিয়ে দেশে ফিরেছেন আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তবে তার এবারের সফরটি সুখকর নয়! কারণ, দুবাইয়ের সমুদ্র সৈকতে দুটি ডিগবাজি দিয়ে কোমরে আঘাত পেয়েছেন এই অভিনেতা।

যা নিয়ে চিন্তিত তার ভক্তরা। তাহলে আর কখনোই ডিগবাজি দিতে পারবেন না এই নায়ক? অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও দুবাইতে ডিগবাজি দিয়ে আঘাতের বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন জায়েদ খান।

ভক্তদের চিন্তা মুক্ত করে তিনি বলেন, মূলত এটি একটি স্পেশাল কাজ ম্যাগাজিনের জন্য। বিশেষ চমক নিয়ে আসতেছি। আমার আঘাতের খবরে যারা চিন্তা করছিলেন তাদের বলব- আপনারা চিন্তা মুক্ত থাকুন। আপনাদের প্রিয় জায়েদ খান ভালো আছেন।

কথায় কথায় জায়েদ খান জানিয়েছেন, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। তার কথায় স্পষ্ট কাজের মধ্যেই ডুবে থাকতে চান তিনি। আঘাতও ডিগবাজি থমিয়ে রাখতে পারবে না। ভক্তদের আবদার থাকলে প্রতিনিয়ত দেবেন আলোচিত ডিগবাজি।

উপস্থাপক জয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জয় ভাই আমার বড় ভাই, অনেক সিনিয়র অভিনেতা। আমি তাকে প্রচন্ড ভালোবাসি। তিনিও আমাকে স্নেহ করেন। আমার যখন সিনেমার শুরু তিনি তখন স্টার। একটা অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অনেক বিষয়ই হয়। এটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না। তিনি আমার শত্রু না। ক্যামেরার সামনে সবসময় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।

একসময় শিল্পী সমিতি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন জায়েদ খান। তবে এখন আজ দেশে তো কাল বিদেশে—এভাবেই চলছে ‘অন্তর জ্বালা’খ্যাত এই নায়কের ব্যস্ততা। এই ব্যস্ততা বেশ উপভোগ করছেন তিনি। যতদিন বেঁচে থাকবেন কাজের মধ্যেই ব্যস্ত থাকতে চান এই অভিনেতা। তার ভাষায়, আল্লাহ হয়ত আমার রিজিক বিদেশের মাটিতে লিখে রেখেছেন। তিনবার শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। অনেকেই সেসময় বিদেশের শো নিয়ে বলতেন। আমি শিল্পী সমিতির জন্য সময় দিতে পারছিলাম না। গেলে হয়ত সবাই মনে করত শিল্পী সমিতির নাম ভাঙিয়ে গিয়েছি।

জায়েদ খান আরও বলেন, দায়িত্বটা ঠিক মতো পালন করার জন্য কোথাও যেতে পারিনি। গেলেও তা নিয়ে কথা হতো। এখন যেহেতু ফ্রি, দায়িত্বে নেই পৃধিবীর সব দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি। প্রবাসীরা আমাকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে থাকে। দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে থাকছি না। তবে সিনিয়র-জুনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। আমার মনে হয় সময়টা সবারই কাজে লাগানো উচিত। একটা সময় আমাকে এখানেও ডাকবে না। সুন্দর সময়টা কাজে লাগিয়ে প্রবাসীদের ডাকে সাড়া দিচ্ছি। আমার উপস্থিতিতে তারা চিৎকার করে স্লোগান দেয়। এগুলো বেশ উপভোগ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d