জাল সনদে চাকরিঃ বিআরটিএ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পাসের জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মোটরযান পরিদর্শক তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৩ মে) সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক সোমা হোড় বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তানভীর আহমেদ ২০০৪ সালে ১১ মে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ৩৮টি পদের বিপরীতে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল কোনো অনুমোদিত শিক্ষা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় পাস এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে অটোমোবাইল/অটোমোটিভ ট্রেড ও কারিগরি বৃত্তিমূলক দ্বিতীয় পর্ব পাস।
আবেদন ও পরীক্ষার পর উত্তীর্ণ মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য মেধা তালিকার ক্রমানুসারে মোট ১৩ জনের নাম সুপারিশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ১ ডিসেম্বর আসামি তানভীর আহমেদ মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে বিআরটিএতে যোগদান করেন।
কিন্তু অভিযোগ অনুসন্ধান পর্যায়ে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অটোমোবাইল/অটোমোটিভ ট্রেড ও কারিগরি বৃত্তিমূলক প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব পাসের সনদ জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ ওই সার্টিফিকেট ওই কলেজ থেকে ইস্যু হয়নি লিখিতভাবে জানিয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, অবৈধভাবে নিয়োগ নিয়ে তানভীর আহমেদ ২০০৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯২ টাকা উত্তোলন করে সরকারের আর্থিক সাধন করেছেন। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।