জাতীয়

‘জিডিপিতে চীনকে ছাড়াবে বাংলাদেশ’

চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির দৌড়ে এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। জিডিপি প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে স্থানে থাকবে ভারত। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) ‘রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আগে আইএমএফ বলেছিল, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ। তবে প্রতিবেদনে দশমিত তিন শতাংশ কমিয়ে ওই প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ দেখানো হয়েছে।

প্রবৃদ্ধির হার কম দেখানোর কারণও জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশেষায়িত এই সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় ও মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করায় অনেক দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে। একারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আগের তুলনায় কমানো হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আইএমএফ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অর্থবছরের মতো এবারেও প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল। তবে প্রত্যাশার তুলনায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি কম হওয়ায় প্রবৃদ্ধির হারও কমবে। তবে আসছে অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে, যেটি ভারতের(৬র দশমিক ৫) চেয়েও বেশি।

আইএমএফ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি হবে। তবে ভারত ও ভিয়েতনামের চেয়ে কম হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে জাপান বাদে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে ভারতের। দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে মঙ্গোলিয়া (৬ দশমিক ৫ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে থাকবে ফিলিপাইন্স (৬ দশমিক ২ শতাংশ), ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ক্যাম্বোডিয়া থাকবে চতুর্থ স্থানে। ভিয়েতনাম(৫ দশমিক ৮ শতাংশ) থাকবে ৫ম স্থানে। ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ৬ষ্ঠ। এ ছাড়া, চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ, চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, নেপালের ৩ দশমিক ১ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মিয়ানমারের প্রবৃদ্ধি হবে দেড় শতাংশ। তবে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরলেও শ্রীলংকার ব্যাপারে আইএমএফ প্রবৃদ্ধির কোনো পূর্বাভাস দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d