ধর্ম

জিনদের একটি দল যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেছিল

আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে যত জীব সৃষ্টি করেছেন এর মধ্যে শুধু মানুষ ও জিন জাতিকে তার ইবাদত ও বিধি-বিধান পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচার দিবসে এই দুই জাতির কাছ থেকে হিসাব গ্রহণ করা হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—  وَ مَا خَلَقۡتُ الۡجِنَّ وَ الۡاِنۡسَ اِلَّا لِیَعۡبُدُوۡنِ

আর আমি সৃষ্টি করেছি জিন এবং মানুষকে এজন্যেই যে, তারা কেবল আমার ইবাদাত করবে। (সূরা, আয-যারিয়াত, (৫১), আয়াত, ৫৬)

অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘হে জিন ও মানব সম্প্রদায়! তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে রাসুল আসেনি, যারা তোমাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ বর্ণনা করেছে।’ (সূরা আনআম, আয়াত, ১৩০)

হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবী হিসেবে আগমনের পর তাদের ওপরও ইসলাম গ্রহণ আবশ্যক। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যেমন মানব জাতির কাছে নবী করে পাঠানো হয়েছিল, তেমনি তিনি জিন জাতিরও নবী ছিলেন। তিনি তাদের মধ্যেও দীনের প্রচার করেছিলেন। জিনদের একটি দল আল্লাহর রাসূলের কাছে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তাদের ইসলাম গ্রহণের ঘটনা পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। জিনদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে একটি সূরাও নাজিল করা হয়েছে সূরা জিন নামে।

জিনদের ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি হলো—

মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়াত প্রাপ্তির আগে জিনেরা আসমান পর্যন্ত যেতে পারতো, তাতে তাদেরকে কোন বাধা দেওয়া হতো না, কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াত লাভের পর তাদের আসমানের কাছে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হল। কোন জিন বা শয়তান সেখানে যেতে চাইলে উল্কাপিণ্ড নিক্ষেপের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেওয়া শুরু হলো।

এ বিষয়ে পবিত্র কোরাআনে বর্ণিত হয়েছে— وَ حَفِظۡنٰهَا مِنۡ کُلِّ شَیۡطٰنٍ رَّجِیۡمٍ

আর আমি তাকে সুরক্ষিত করেছি প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান থেকে। (সূরা হিজর, (১৫), আয়াত, ১৭)

অর্থাৎ, শয়তান যখন আকাশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন তাকে আকাশ থেকে জ্বলন্ত শিখা (উল্কা) ছুঁড়ে মারা হতো। মহান আল্লাহ বলেছেন যে, আমি আকাশকে প্রত্যেক অভিশপ্ত শয়তান থেকে রক্ষা করে থাকি ওই সকল গ্রহ-নক্ষত্র দ্বারা, যা আঘাত হেনে শয়তানকে পালাতে বাধ্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d