ধর্ম

জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াতের ফজিলত

জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। সুরা কাহাফ পবিত্র কুরআনের ১৮ নম্বর সুরা। এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সুরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ১১০। সুরাটি একসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে এবং এটি নাজিলের সময় ৭০ হাজার ফেরেশতা দুনিয়াতে আগমন করেছেন।

সুরা কাহাফ তেলাওয়াতের ফজিলত

১. যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ঈমানের) নুর এ জুমাহ হতে আগামী জুমাহ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

২. যে ব্যক্তি সুরা আল কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে তাকে দাজ্জালের অনিষ্ট হতে নিরাপদ রাখা হবে। (মুসলিম) (মিশকাত)।

৩. যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য এমন একটি নুর হবে, যা তার অবস্থানের জায়গা থেকে মক্কা পর্যন্ত আলোকিত করে দিবে। আর যে ব্যক্তি উহার শেষ দশটি আয়াত পাঠ করবে, তার জীবদ্দশায় দাজ্জাল বের হলেও সে তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (সিলসিলায়ে সহীহা -২৬৫১)।

৪. যে ব্যক্তি জুমার রাত্রিতে সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য স্বীয় অবস্থানের জায়গা হতে পবিত্র মক্কা পর্যন্ত একটি নুর হবে। (সহীহ তারগীব ওয়াত্ তারহীব – ৭৩৬)।

৫. জুমার দিনে সুরা কাহফ পাঠ করিলে কিয়ামত দিবসে তার পায়ের নীচ থেকে আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত নুর আলোকিত হবে এবং দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহ মাফ হবে। (আত তারগীব ওয়াল তারহীব- ১/২৯৮)

৬. জনৈক ব্যক্তি সুরাহ আল কাহাফ পড়ছিলেন। তখন লোকটি তাকিয়ে দেখতে পেলেন একখণ্ড মেঘ তাকে পরিবেষ্টন করে নিয়েছে। বারা ইবনু আযিব বর্ণনা করেছেন যে, লোকটি বিষয়টি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালামের কাছে বললেন। তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে অমুক তুমি সুরাটি পড়তে থাক। কারণ এটি ছিল আল্লাহর রহমত বা প্রশান্তি যা কোরআন তেলাওয়াতের কারণে বা এর জন্য অবতীর্ণ হয়েছিল। (মুসলিম- ১৭৪২)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d