জাতীয়

ঝুঁকিপূর্ণদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে রাত ৮টার মধ্যেই: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে। এ জন্য রাত ৮টার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন বর্তমানে পায়রা বন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এই ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটার থেকে ১১৭ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দিয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে দুটি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সাত নম্বর বিপৎসংকেতের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। সে অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই মুহূর্ত থেকেই স্বেচ্ছাসেবকরা দুর্গত এলাকার লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু করবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ, গতি প্রকৃতি এবং চরিত্র বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি, আজ রাত ১০টা থেকে আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করবে। এ জন্য আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, রাত ৮টার মধ্যেই যেন ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

এনামুর রহমান আরও বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র আমরা প্রস্তুত করেছি, সেখানে রান্না করা খাবার, সুপেয় পানি, শিশুদের খাবার, গোখাদ্যের জন্য আমরা ইতোমধ্যে অর্থ বরাদ্ধ করেছি। প্রত্যেক জেলায় আমরা ২০ লাখ টাকা এবং ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। শিশুখাদ্য এবং গোখাদ্যের জন্য এক কোটি করে মোট ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১২ জেলার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা আছে। সেখানে মেডিকেল টিম জরুরি ওষুধ নিয়ে প্রস্তুত আছে। ১০ জেলার ঝুঁকিপূর্ণ ১৫ লাখ লোককে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d