টাকার বিনিময়ে পাসের প্রস্তাব: পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ৫ পরীক্ষার্থী
আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তকরণ (লিখিত) পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে উত্তীর্ণ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ায় ৫ শিক্ষার্থীকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা আগামী ৫ বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
এই শিক্ষার্থীরা হলেন— মো. লুৎফর রহমান, মোছা. মাকসুদা পারভীন, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, মো. মনিরুজ্জামান, ও মো. আনিসুর রহমান। এরা সবাই এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
রোববার (২৪ মার্চ) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন বার কাউন্সিলের সচিব সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুর রহমান সরদার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বার কাউন্সিলের গত ২৩-১২-২০২৩ইং তারিখে অনুষ্ঠিত এনরোলমেন্ট লিখিত পরীক্ষায় নিম্নলিখিত ৫ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রে নিজ ফোন নম্বর প্রদান, অর্থের বিনিময়ে পাস করিয়ে দেয়ার জন্য পরীক্ষকের নিকট প্রস্তাব, পরীক্ষা-কেন্দ্রে দায়িত্বরত নারী ইনভিজিলেটর সম্পর্কে উত্তরপত্রে অনভিপ্রেত/অশালীন কথাবার্তা লেখা প্রভৃতিসহ অনৈতিক প্রস্তাবনা প্রদান করেছেন। আইনের শিক্ষার্থী এবং আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার একজন শিক্ষানবিশ প্রার্থীর তরফ থেকে বার কাউন্সিল লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারকের নিকট এই ধরনের অনৈতিক প্রস্তাব রাখা গোটা আইন অঙ্গনকে কলুষিত করার শামিল।
সেই সাথে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বার কাউন্সিলের জন্যও এই ধরনের ঘটনা ভীষণ রকম অবমাননাকর। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বার কাউন্সিলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার দায়ে বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট কমিটি নিম্নবর্ণিত প্রার্থীদের প্রত্যেককে আগামী ৫ বছরের জন্য এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীদের বিবরণ নিম্নরূপ:-
লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের ৯,১০,১৩ ও ১৪নং পৃষ্ঠায় অপ্রাসঙ্গিক/অসংলগ্ন কথাবার্তা লিখেছেন। উত্তরপত্রের ১৪নং পৃষ্ঠায় পরীক্ষা-কক্ষে দায়িত্বরত নারী ইনভিজিলেটর সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও অশালীন মন্তব্য লিখেছেন।
লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের ৬নং পৃষ্ঠায় নিজ মোবাইল ফোন নম্বর লিখে দিয়ে উত্তরপত্র নিরীক্ষণকারী পরীক্ষকের প্রতি অনৈতিক প্রস্তাব প্রদান করেছেন।
লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের ১০নং পৃষ্ঠায় নিজ মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ করে দিয়ে অসংলগ্ন ও অনভিপ্রেত কথাবার্তা লিখেছেন।
লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের ২১নং পৃষ্ঠায় নিজ মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ করে দিয়ে অনভিপ্রেত এবং অনৈতিক কথাবার্তা লিখেছেন। উত্তরপত্র নিরীক্ষণকারী পরীক্ষককে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের ২৯নং পৃষ্ঠায় নিজ মোবাইল ফোন নম্বর লিখে দিয়েছেন।
ভবিষ্যতে যাতে কোনো পরীক্ষার্থী বার কাউন্সিলের কোনো পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে এই ধরণের কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে এই মর্মে সতর্ক করা যাচ্ছে।