চট্টগ্রাম

টানেল উদ্বোধন ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রামে সাজ সাজ রব

আরো একটি ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করবে টানেল যুগে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উদযাপনে পুরো চট্টগ্রাম সাজছে বর্ণিল সাজে। বিশেষ করে টানেলের দুই প্রান্ত পতেঙ্গা ও আনোয়ারায় চলছে সাজসাজ রব।

টানেল উদ্বোধনের পর আনোয়ারা প্রান্তে কেইপিজেড মাঠে অনুষ্ঠিত হবে জনসভা। এই সভায় ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে চলছে জোর প্রস্তুতি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ জনসভা সফল করতে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা দুইটায় ভূমিমন্ত্রী সরেজমিনে জনসভার মাঠ পরিদর্শন করেন।

এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও জনসভার প্রস্তুতি কার্যক্রম তদারকিতে এলাকায় রয়েছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সফলতা তুলে ধরার পাশাপাশি বড় ধরনের শোডাউনে তাক লাগিয়ে দিতে চায় ক্ষমতাসীন দল। বড়সড় মাঠে চলছে মহাসমাবেশ আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি। ৮ ফুট উচ্চতায় ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৮ বর্গফুট প্রস্থের প্রায় ৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। যা মাঝারি আকারের প্রায় ৬টি ফ্ল্যাট বাড়ির সমান। নেতাকর্মীরা বলছেন এটি হবে দেশের এ যাবৎকালের বৃহত্তম মঞ্চ। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশাল মাঠ। মঞ্চ তৈরির দায়িত্বে থাকা চিটাগাং ইভেন্টসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বললেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এর চেয়ে বড় মঞ্চ তৈরি হয়েছে বলে আমার জানা নেই। বঙ্গবন্ধু টানেল যেমন ঐতিহাসিক তেমন মহাসমাবেশের সবকিছুও স্মরণীয় করে রাখার মতই তৈরি হচ্ছে।

ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এর মধ্যে কয়েকবার মহাসমাবেশের স্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল বাংলাদেশের মর্যাদাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মহাসমাবেশের মাধ্যমে সেই অর্জনকে সেলিব্রেট করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়ে দিতে চাই চট্টগ্রামের মানুষ তাকে মনপ্রাণ উজাড় করে ভালবাসে। প্রধানমন্ত্রী জনসভায় নির্বাচনের চূড়ান্ত দিক নির্দেশনা দেবেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, টানেল চালু ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মহাসমাবেশের ঢেউ আগামী নির্বাচনে গিয়ে পড়বে। নেতকর্মীরা বেশ উচ্ছ্বসিত।

জনসভা ও টানেলের উদ্বোধন ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পুরো এলাকা ছেয়ে গেছে বিলবোর্ড, ব্যানার ও পোস্টারে। সমাবেশ জনসমাগমে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগ কয়েকদফা বর্ধিত সভার মাধ্যমে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

টানেল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। ইতিমধ্যে একাধিকবার পরীক্ষামূলক গাড়ি চলাচলও করেছে। উদ্বোধনের পরদিন ২৯ অক্টোবর থেকে টানেল যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d