ট্রাফিক আইন মানেন না রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষ
ট্রাফিক আইন বা পুলিশের নির্দেশনা, সড়কে কোনোটাই মানেন না বেশিরভাগ নগরবাসী। তারা চলেন নিজের মতো। ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, আন্ডারপাস থাকলেও নেই সেসবের ব্যবহার। ঝুঁকি মাথায়, জীবনটা হাতে নিয়ে চলাচল করাই যেনো অভ্যেসে পরিণত হয়েছে নগরবাসীর। ফলাফল দুর্ঘটনা-প্রাণহানি।
প্রতিদিন পার পেলেও হাত দিয়ে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে চলতে গিয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও আছে। মাথার উপর ফুটওভারব্রিজ, কিন্তু উঠতে চান না অনেকেই। ঝুঁকি নিয়ে দৌঁড়েই পার হতে হবে। কখনো মাঝপথে গাড়ি চলে এলে?
একজন নগরবাসী দোহাই দিলেন রোজার। বললেন, রোজাতো তাই! আরেকজন বললেন, রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হওয়া সট-কাট। একজন নারী বললেন, রাস্তা ফাঁকা দেখে পার হয়ে গেলেন তিনি। না হলে ফুটওভার ব্রিজ দিয়েই পার হতেন।
ফুটওভারব্রিজে উঠতে কষ্ট, তো আন্ডারপাস? সেপথ দিয়েও যেতে কষ্ট অনেকের। এদিকে ফুটপাতে হাঁটবে মানুষ, অথচ চলে মোটরসাইকেল।
একজন নগরবাসী বললেন, মোটারসাইকেল থাকবে রাস্তায়, তবে সেটি যে ফুটপাতে চলবে, তা মাথায়ই থাকে না। হাটতে থাকি, আচমকা পেছন থেকে হর্ন দেয়, ফলে ভয় পেয়ে যাই।
কখনো উল্টোপথে রিক্সাও উঠেপড়ে ফুটপাতে। তাই শান্তি নেই সেখানেও। একজন রিকশাওয়ালা বললেন, অপরাধ করেছি এটা মানি। তবে মানুষ যদি বলে একটু নামিয়ে দিয়ে যান, এই জন্য দিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া যানজটে আর তীব্র গরম তো আছেই।
তবে এক্ষেত্রে নিজেদেরই সচেতনতার অভাব বলে মনে করেন অনেক নগরবাসী। এছাড়াও হঠাৎ করে গাড়ি ফুটপাতে গাড়ি চলে আসলে, অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে মনে করেন তারা।
জেব্রা ক্রসিং! মানে মানুষ চলবে, গাড়ি থাকবে অপেক্ষায়। জেব্রা ক্রসিংয়ের এ সংজ্ঞা পুরোই উল্টো এই নগরে। পুরোদমে চলছে গাড়ি, রাস্তা পার হচ্ছেন একজন। তখনও কথা বলেই চলেছেন মোবাইলে ফোনে। তোয়াক্কাই করছেন না খোদ নিজের প্রাণটার।