আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প হত্যাচেষ্টায় ব্যবহার হয়েছিল এআর-১৫ রাইফেল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার পেনসিলভেনিয়ায় একটি প্রচার সমাবেশে বন্দুক হামলায় গুলিবিদ্ধ হন। ওই হামলায় তিনি গুলিবিদ্ধ হলেও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।

দেশটির সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, এ সময় হামলাকারী নিহত এবং অন্য দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

টমাস ম্যাথিউ ক্রুক নামে ২০ বছর বয়সী এক যুবককে হামলাকারী হিসেবে সনাক্ত করেছে দেশটির ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। তাকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়েছে। ওই যুবকের এ হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত চলছে।

ইউএসএ টুডে জানিয়েছে, হামলাকারী যুবক এআর-১৫ মডেলের একটি রাইফেল ট্রাম্প হত্যার চেষ্টায় ব্যবহার করেছেন।

সিএনএন রোববার জানিয়েছে, হামলায় ক্রুকসের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি সনাক্ত করা হয়েছে।

নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি তথ্যানুসারে, এআর-১৫ রাইফেল একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। অস্ত্রটি ব্যবহারের সময় শ্যুটারকে ট্রিগার টেনে ফায়ার করতে হয়, কিন্তু পরবর্তী রাউন্ডটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চেম্বারে লোড হয়ে যায়। আর্মালাইট দ্বারা নির্মিত অস্ত্রটি ২০০৪ সালে অ্যাসল্ট অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার অবসানের পর আমেরিকায় ব্যাপক জনপ্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র হয়ে ওঠে।

ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে ২০ জনের মধ্যে ১ জন মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক এআর-১৫ আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক ছিলেন। আমেরিকায় ১৭টি ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনার মধ্যে অন্তত ১০টিতে এ অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

জনপ্রিয় কল অব ডিউটি ​​ফ্র্যাঞ্চাইজিসহ ভিডিও গেমস এবং মিডিয়াতে এ রাইফেলের ব্যবহার দেখা যায়।

বন্দুক পর্যালোচনা সাইটগুলোর একটি সমীক্ষা অনুসারে, এআর-১৫ রাইফেল ব্যবহারকারী শ্যুটার ৪০০-৬০০ গজের মধ্যে তার টার্গেটকে অনায়াসে গুলিবিদ্ধ করতে সক্ষম।

সূত্র: ইউএসএ টুডে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d