ডাক্তার চোখ আর জিহ্বা কেন দেখেন?
ডাক্তারের চেম্বারে গেলে প্রথমেই চোখ আর জিহ্বা দেখেন চিকিৎসকরা। কিন্তু চোখ দেখেই কি রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব? এমন নানা প্রশ্ন চেম্বারে আসা রোগীদের। বিষয়টি কতটুকু কার্যকরী তা জানতে চান অনেকেই। কি এমন হয়েছে এই চোখ আর জিহ্বায়? চিকিৎসকরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ।
চোখ আর জিহ্বা দেখে বেশ কিছু রোগের কারণ শনাক্ত করা যায়। শরীরের ভেতর কোনো রোগ হলে তা আমরা রক্ত পরীক্ষা বা ইমেজিং টেস্টের মাধ্যমে বুঝতে পারি। তবে শরীরের বাইরেও কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে। এর মধ্যে বেশিরভাগ লক্ষণ ফুটে ওঠে চোখে ও জিহ্বায়। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
চোখের মণির চারপাশে সাদা দাগ
চোখের মণির চারপাশজুড়ে সাদা দাগ দেখা যায় অনেকসময়। এই দাগ রক্তে বেশি কোলেস্টেরলের লক্ষণ। এছাড়াও, রক্তে কোলেস্টেরল বাড়লে চোখের মণিতে হলুদ দাগ দেখা যায়।
চোখের মধ্যে লাল দাগ
চোখের মধ্যে লাল দাগ বা স্পট। নানা রোগের কারণে এটি হতে পারে। তবে রক্তে সুগার বেশি হলে এই দাগ দেখা যায় ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে।
ড্রাই আই
ফোন বা ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে হয় অনেককেই। কাজ না করলেও শুধু ঘাঁটাঘাঁটি থেকে ড্রাই আই ও তার থেকে চোখ লাল হয়ে যায়। এটি এক ধরনের অটোইমিউন রোগের সংকেত হতে পারে। এছাড়াও, লাল চোখ অ্যালার্জি বা সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
জিহ্বা কিছুটা লাল
জিভের স্বাভাবিক রং কিছুটা গোলাপি ও উপরের অংশ সাদা রঙের। জিহ্বার রং লাল হলে তা ভিটামিনের অভাব বোঝাতে পারে। ফোলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন বি১২-এর অভাব হলে এমনটা হয়।
বেগুনি বা নীল
জিহ্বার এই রং হার্টের রোগের লক্ষণ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন না থাকলে এমনটা হয়। সেক্ষেত্রে এটি ফুসফুসের সমস্যাও হতে পারে।
সাদা জিহ্বা
জিহ্বার রং কিছুটা সাদা হলে তা সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল সংক্রমণ হলে এমনটা হয়। এছাড়াও, শরীরে জল কমে গেলে জিহ্বা সাদা হয়ে যেতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : লেখায় উল্লিখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।