লাইফস্টাইল

তিল বা আঁচিলে যখন সতর্ক হবেন

তিল বা আঁচিল ক্ষতিকর কিছু না। আঁচিল বা ওয়ার্ট এক ধরনের ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে চর্মরোগ।

তবে তিলের আকার, রং পরিবর্তন বা ব্যথা হলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন সার্জারি বিশেষজ্ঞরা। তিল এক ধরনের জন্মদাগ। অন্যদিকে আঁচিল বা ওয়ার্ট এক ধরনের ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে চর্মরোগ।

কারণ

তিলের কোনো কারণ জানা নেই, তবে আঁচিল হচ্ছে ‘হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস’ নামের ভাইরাসজনিত সংক্রমিত চর্মরোগ।

তিলের উপসর্গ

তিল বিভিন্ন আকারের হতে পারে। প্রথমে গোলাপি বা লালচে রঙের হয়।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিজে নিজে ভালো হয়ে যায়, আবার অনেকগুলোর রং পরিবর্তন হয়ে লালচে থেকে কালচে, কোবল স্টোনের মতো দেখতে হয়। কিছু আবার ক্যানসারে পরিবর্তিত হয়। অনেকগুলোতে চুল গজায়, যা নিয়মিত কাটতে হয়।

আঁচিলের উপসর্গ

আঁচিল শরীরের রঙের ছোট ছোট ঘাস বা ঘাস ফুলের মতো অথবা খসখসে আকারে ত্বকে এক ধরনের সমস্যা, যা হঠাৎ করে হয়।
এক বা একাধিক হতে পারে। ধূসর, বাদামি বা কালো রঙেরও হতে পারে। শিশুদের বেশি হয়। রোগীর সঙ্গে সংস্পর্শ, যৌনাচার, তোয়ালে, দরজার হাতল, বিছানা, শেভ করা, নখ কাটা ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায়। শরীরের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন আকারের আঁচিল হতে পারে যেমন— হাত, পা, মুখমণ্ডল, যৌনাঙ্গ ইত্যাদি।

করণীয়

তিল ক্ষতিকারক নয় তাই চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তবে তিলের রং, আকার পরিবর্তন, ব্যথা হলে বা রক্ত ঝরলে অবশ্যই হিস্টোপ্যাথলজি করে চিকিৎসা করতে হবে। এছাড়াও শরীরে কোনো নতুন কালো দাগ দেখলেই অবহেলা না করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করতে হবে, কারণ এটা মেলানোমা নামক মারাত্মক ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।

আঁচিল বা ওয়ার্ট সাধারণত আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। আর দীর্ঘদিনে ভালো না হলে কটারাইজেশন, ক্রায়ো বা লেজার চিকিৎসা করাতে হবে। কোনোভাবেই অপারেশন করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d