অন্যান্য

থাইল্যান্ডে বিরল বৈদ্যুতিক নীল প্রজাতির মাকড়সার সন্ধান

থাইল্যান্ডে ‘মনোমুগ্ধকর’ বৈদ্যুতিক নীল প্রজাতির মাকড়সার খোঁজ পেয়েছেন একদল গবেষক। দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ফাঙ্গা প্রদেশে এ ধরনের মাকড়সার সন্ধান পান তারা।

মাকড়সা দেখে অনেকে ভয়ে আঁতকে উঠলেও প্রাণীটিকে নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহের কমতি নেই। সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার প্রজাতির মাকড়সার সন্ধান মিলেছে, যদিও এই সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বলে মনে করেন অনেকেই। এবার এ তালিকায় যুক্ত হলো নতুন এক বিরল প্রজাতির মাকড়সা।

সিএনএন জানায়, থাইল্যান্ডে ‘মনোমুগ্ধকর’ বৈদ্যুতিক নীল প্রজাতির মাকড়সার খোঁজ পেয়েছেন একদল গবেষক। দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ফাঙ্গা প্রদেশে এ ধরনের মাকড়সার সন্ধান পান তারা।

খোন কেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব এবং উদ্ভিদ রোগবিদ্যা বিভাগের গবেষক নারিন চম্পুফুয়াং সোমবার সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা মাকড়সার একটি নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছি, যা মনোমুগ্ধকর বৈদ্যুতিক নীল-বেগুনি রঙ প্রদর্শন করে এবং যা বৈদ্যুতিক নীল স্পার্কের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’

এ বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণাপত্র গত ১৮ সেপ্টেম্বর গবেষণা জার্নাল ‘জুকিস’-এ প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষক নারিন চম্পুফুয়াং বলেন, ‘প্রকৃতিতে প্রদর্শিত বিরল রঙের একটি হলো নীল এবং রঙটি যেকোনো প্রাণীকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তোলে।’

গবেষকরা জানান, এই নীল রঙ মাকড়সার শরীরে রঞ্জকের পরিবর্তে ‘জৈবিক ফোটোনিক ন্যানোস্ট্রাকচার’ বিন্যাস থেকে এসেছে।

গবেষণাপত্র অনুসারে, মাকড়সার শরীরের এই রঙ দুই ধরনের লোম ‘ধাতব-নীল ও বেগুনি’ থেকে আসে।

মাকড়সার রঙ ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য লিঙ্গ এবং বয়স অনুসারে পরিবর্তিত হয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্ত্রী ও অল্পবয়সী পুরুষ মাকড়সার শরীরে ধাতব নীলের চেয়ে বেগুনি রঙের লোম বেশি থাকে।

এরা সাধারণত গাছের গর্তে বসবাস করে এবং এদের ধরা খুবই কঠিন। এজন্য গবেষকদের প্রায়শই গাছে চড়তে হয়েছে বলেও জানান নারিন চম্পুফুয়াং।

নতুন আবিষ্কৃত মাকড়সার প্রজাতিটিকে বিশ্বের বিরলতম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ অফিসে যে কাজগুলো করবেন না

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d