দক্ষিণ আফ্রিকার আরও একটি সিরিজ হার
সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ২৮ রানে। কাল দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৮ বলে ৬৭ রান করা রোস্টন চেজ বল হাতে ২৬ রানে ১ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। কাল জ্যামাইকার কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ৫ ওভারে ৮১ রান তুলেও ২০৮ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমেছে ১৯১ রানে।
নিয়মিত অধিনায়ক এইডেন মার্করাম, হাইনরিখ ক্লাসেন, ট্রিস্টান স্টাবস, ডেভিড মিলার কেউই এই সিরিজ খেলছেন না। এরপরও বিশ্বকাপের আগে তাঁদের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে একটি পরিসংখ্যান—২০২২ সালের আগস্টের পর কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লের মধ্যে কুইন্টন ডি কক আউট হলেও ১৮ বলে ৪১ রান করে দলের ভালো শুরু নিশ্চিত করেন। আরেক ওপেনার রিজা হেনড্রিকসও করেছেন ১৮ বলে ৩৪ রান। প্রথম ৮ ওভারেই ১০০ রান তোলে প্রোটিয়ারা। এরপর কেউই ভালো করতে পারেননি।
২ উইকেট ১১৩ থেকে ১৬৭ রানে ৭ উইকেট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর। অর্থাৎ ৫৪ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার গুড়াকেশ মোতি কালও দারুণ বোলিং করেছেন। ২২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট, যা তাঁর ক্যারিয়ার-সেরা। এ নিয়ে টানা তিনটি ম্যাচে ৩ উইকেট করে পেয়েছেন এই স্পিনার।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ৫ ওভারে রান তোলে মাত্র ৩৬। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে চেজ ও আন্দ্রে ফ্লেচার ৩৬ বলে তোলেন ৫৬ রান, এরপর পঞ্চম উইকেট রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে ২৫ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন চেজ। তাতেই মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৭ রানের। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি পেয়েছেন চেজ। শেফার্ড করেছেন ১৩ বলে ২৬, ফ্লেচার ১৮ বলে ২৯।
কাল প্রায় ৯ মাস পর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মাঠে নেমেছেন আনরিখ নর্কিয়া। ফেরাটা ভালো হয়নি তাঁর। ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার ছিলেন অভিষিক্ত এনকাবায়োমজি পিটার। ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই লেগ স্পিনার দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ দলে নেই।