দিনের শুরুতেই পাকিস্তানকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ
কথায় বলে ‘সকালেই দিন বোঝা যায়’। বাংলাদেশের সকালটা হলো ঠিক তেমনই।
একে একে পাকিস্তানের চার ব্যাটারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। আগের দিনের শেষবেলায় দুই উইকেট হারানো স্বাগতিকরা তাতে বেশ চাপে পড়ে গেছে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। তাদের লিড ১১৬ রান।
রাওয়াপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতলে বা ড্র করলেও সিরিজও জিতবে তারা। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ২৭৪ রান করেছিল। জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ২৬২ রানে।
১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান তৃতীয় দিনের শেষবেলায় ৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। দুটি উইকেটই নেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। আজ চতুর্থ দিনের শুরুতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল পাকিস্তান। নতুন করে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা পৌঁছে গিয়েছিল দলীয় ৪৭ রানে।
সকালে পাকিস্তানকে আশা দেখাচ্ছিলেন সায়েম আইয়ুব ও শান মাসুদ। কিন্তু আইয়ুবকে বেশিদূর যেতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের ১৩তম ওভারে তাসকিনের দারুণ এক ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে ওয়াইড মিড-অফে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দেন আইয়ুব (২০)।
তিন ওভার পরে আঘাত হানেন নাহিদ রানা। এবার ফেরেন আরেক সেট ব্যাটার মাসুদ (২৮)। পাকিস্তানের অধিনায়ক অযথা লুজ ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটকিপার লিটনের কাছে। এরপর পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার বাবর আজম (১১) নড়বড়ে শুরুর পর টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। তাকেও ফিরিয়েছেন নাহিদ। অফসাইডের বাইরে তার লাফিয়ে ওঠা বল বাবরের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় প্রথম স্লিপে থাকা সাদমান ইসলামের মুঠোয়।
বাবর ফেরার পরের বলেই নতুন ক্রিজে আসা মোহাম্মদ রিজওয়ান ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর ক্যাচ ধরতে পারেননি স্লিপে থাকা সাদমান। পরের উইকেটটিও নাহিদের। এবার সৌদ শাকিলের উইকেট তুলে নেন নাহিদ। অফসাইডের বাইরে তার লেন্থ বল শাকিলের (২) ব্যাট ছুঁয়ে জমা হয় লিটনের গ্লাভসে। দলীয় ৮১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।