দেশজুড়ে

দুইদিনের ব্যবধানে সবজির দাম কমেছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা

দুইদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অর্ধেকে নেমেছে সব ধরনের সবজির দাম। ফলন ভালো হওয়াসহ হাটবাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে এসেছে বলে দাবি স্থানীয় পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের। রমজান মাসে সব ধরনের সবজির দাম কমে আসায় ক্রেতা সাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
বুধবার (২০ মার্চ) সকালে ফুলবাড়ী পৌর সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দুইদিন আগে যে বেগুনের দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, বর্তমান সেই বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজিতে, ৬০ টাকার পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি, ৬৫ টাকার শিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, ৫৫ টাকার খিরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, ৪০ টাকার টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, আলু বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে, পেঁপে ২০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ৩৫ টাকার গাজর বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, ৫০ টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি, আদা ১৫০ টাকা কেজি, ১৫০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় ও ৭৫ টাকার পেঁয়াজ কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে।

পৌর বাজারে সবজি কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর রমজানে সবজির দাম অনেক বেশি থাকে। এ বছর সব সবজির দাম কমে গেছে। এতে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ ক্রেতাদের অনেক স্বস্তি এসেছে।

পৌর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী হারুন উর রশীদ বলেন, পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমে আসায় খুচরা বাজারেও কমে এসেছে। এতে বেচাবিক্রিও বেড়েছে।

পাইকারি ব্যবসায়ী হিমির চন্দ্র বলেন, গত দুইদিন ধরে পাইকারী বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সব ধরণের সবজি বাজারে ওঠার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকা থেকে আমদানি করা সবজিতে বাজার ভরপুর হওয়ায় সব ধারণের সবজির দাম কমে এসেছে।

উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের বুজরুক সমশেরনগর গ্রামের বেগুন চাষি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বছর বেগুনের ফলন ভালো হয়েছে। প্রথম দফায় খেতের বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ৭ থেকে ৮ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি করতে হয়েছে। তবে এতেও কোনো লোকসান হয়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে পাশাপাশি সবজি চাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতাসহ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে উপজেলায় সবজি উৎপাদন যেমন বেড়েছে, তেমনি কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, কেউ যেন অহেতুক খাদ্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিংসহ নজরদারি করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d