দুর্নীতির অভিযোগে সরকারি ৪ অফিসে দুদকের অভিযান
বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর ভূমি অফিস, রাজশাহীর বাগমারা পৌরসভা, ফরিদপুরের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বরগুনার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা অফিস থেকে অভিযানগুলো চালানো হয়। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুরের নাজিরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জমি নামজারি বাবদ ঘুষ দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের পিরোজপুর অফিস থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিরপুরের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অভিযোগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখতে পায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে এবং অভিযোগকারীর নামজারি সংক্রান্ত আবেদনপত্রটি মঞ্জুর করে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং সেবা প্রার্থীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়ে নির্বিঘ্নে সরকারি সেবা পায় সেই বিষয়ে বর্তমানে দায়িত্বরত ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তাকে সতর্ক করা হয়।
অন্যদিকে রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার এক সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে একই কর্মস্থলে ২১ বছর চাকরি এবং ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে আরও একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। টিম ভবানীগঞ্জ পৌরসভার টেন্ডার, এস্টিমেট, নির্মাণসামগ্রীর ল্যাব টেস্ট ও বিল ভাউচারসহ বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছে। যা পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।
দেশীয় মুরগী উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফরিদপুরেরর আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের ফরিদপুর অফিস। দুদক সূত্র জানায়,এলডিডিপি দেশীয় মুরগী উন্নয়ন প্রকল্পের ৪০ জন সুবিধাভোগীর ৪০টি মুরগী ঘরের জন্য ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ ছিল। ওই টাকা সুবিধাভোগীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। উপকারভোগীদের মাধ্যমে ওই টাকা উত্তোলন করে কর্মকর্তা নিম্নমানের ঘর করে দিয়েছেন, তার মধ্যে ৩টি ঘর এখনো অসম্পূর্ণ পাওয়া যায়। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট যাবতীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।