দেড়শ উপজেলায় প্রার্থী দেবে জামায়াত
বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। বিএনপির সঙ্গে একমত হয়ে দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি জামায়াত। এমনকি নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর আন্দোলন কর্মসূচিতে অগ্রভাগে ছিল ইসলামী এই দলটি। তবে আসন্ন উপজেলা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এমতাবস্থায় জামায়াত ভোটে অংশ নিচ্ছে কিনা সেটি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আগ্রহ রয়েছে। তবে জামায়াত এই পথে যাচ্ছে না।
জামায়াতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামব জামায়াত। আওয়ামী লীগের মতো তারাও স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করবে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা মজলিসে শূরায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। জামায়াতের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মজলিসে শূরা বৈঠকে জামায়াতের সংগঠন, নির্বাচন এবং সামনের দিকে করণীয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়। ওই মজলিসে শূরা বৈঠকে বিএনপিরও কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের ভ্রান্ত কৌশল নিয়েও কথা হয় ওই বৈঠকে। তারা মনে করছে, উপজেলা নির্বাচনে যেহেতু আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে, নৌকা প্রতীক দিচ্ছে না, বিএনপিও ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করবে না। কাজেই প্রতীক বিহীন এই নির্বাচন জামায়াতের জন্য সুবর্ণ সুযোগ এমনটি মনে করছে স্বাধীনতাবিরোধী দলটি। আর এরকম বিবেচনা থেকেই অন্তত দেড়শটি উপজেলায় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত।
জামায়াত মনে করে, সারা দেশে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন, জেল জুলুমের পরও জামায়াত সংগঠন হিসেবে টিকে আছে এবং সারা দেশে নীরবে জামায়াতের সংগঠন বিকশিত হচ্ছে। নিবন্ধন না থাকার পরেও জামায়াতের কর্মীসংখ্যা বেড়েছে এবং তারা জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে হাসিমুখে লড়াই করছে বলেও মজলিসে শূরার বৈঠকে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। ওই বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনকে নিজেদের সংগঠন গোছানো এবং জনপ্রিয়তা যাচাই একটি সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আর এজন্য ইতোমধ্যে সিলেট, খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার অন্তত দেড়শটি উপজেলায় প্রার্থী দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।