দেড় বছর ধরে অনলাইন জুয়া পরিচালনা করছে নিশাত
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিষয়ে শিক্ষার্থী নিশাত মুন্না (২০)। তিনি NISHAT MUNNA নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল এবং Nishat Munna (সাইলেন্ট কিলার) নামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন রোস্টিং/বিতর্কিত ভিডিও তৈরি করে প্রচারের করতেন।
২০২২ সালের শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গ্রুপের বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখে অনলাইন জুয়ার প্রতি আসক্ত হন নিশাত মুন্না।
এছাড়াও অনলাইনে বেটিং সাইটের প্রসারের জন্য ভিডিও বানাতে নিশাতকে দেশের বাইরের বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার প্লাটফর্ম থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর জন্য ভিডিও প্রতি তাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়। এরপরই নিশাত অনেক টাকা লাভের আশায় বিভিন্ন বেটিং সাইটের প্রচার ও অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হন।
এতে করে তিনি নিজেও অনলাইন জুয়ার কার্যক্রম শুরু করেন। গত দেড় বছর ধরে বাংলাদেশ এজেন্ট হিসেবে অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে জুয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন নিশাত মুন্না।
যুবকদের অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে টাকা আয়ের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন একাউন্ট তৈরি করার জন্য একটি চক্র গড়ে তুলেন নিশাত। তার চক্রের আট সদস্যদের মধ্যে মূলহোতা নিশাত মুন্না ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এর আগে, সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার সাইটের কার্যক্রম দেশে পরিচালনার মাধ্যমে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের মূলহোতাসহ চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এবং র্যাব-১১ এর যৌথ টিম।
চক্রের গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মূলহোতা মো. নিশাত মুন্না (২০), মো. কামরুল ইসলাম শুভ (২৭), মো. সুমন (৩৫) ও মো. নাজমুল হোসেন বাবু (৩১)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১৬টি মোবাইল ফোন, ১৮টি সিম কার্ড, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর উদ্ধার করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা অনলাইন জুয়ার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয় স্বীকার করেছেন।