দেশের চিকিৎসা সেবায় কাজ করে যাবে পিএইচপি
পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান বলেছেন, এদেশের কোনো মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না, সে লক্ষ্যে কাজ করছে পিএইচপি। লক্ষ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন দেশে কোনো মানুষ না খেয়ে কিংবা বিনা চিকিৎসায় মরতে না পারে।
তাই শিক্ষা ও চিকিৎসায় সমৃদ্ধ করে এ দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে পিএইচপি ফ্যামিলির অর্থায়নে নির্মিত ‘পিএইচপি ফ্যামিলি ফ্লোর’এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসপাতালের লেকচার গ্যালারিতে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুফি মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান।
এর আগে আগে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান নবনির্মিত ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ও বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরে হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রমে খুবই সন্তোষ প্রকাশ করেন ও মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে হাসপাতালের উন্নতির জন্য মোনজাত করেন সুফি মিজানুর রহমান।
হাসপাতলটির কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক।
সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে সুফি মিজানুর রহমান বলেন, আমি ১০০ টাকার চাকুরি নিয়ে জীবন শুরু করি। সেখান থেকে আজকে আমাদের এই বিশাল পিএইচপি পরিবার। জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। জীবনে সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে তাহলেই জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করা সম্ভব।
পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণের হাসপাতাল। এই হাসপাতালের সাথে পিএইচপি পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এ সময় তিনি ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য আরও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এম এ মালেক বলেন, জনগণের অর্থায়নে আমরা সম্প্রতি এখানে ক্যান্সার হাসপাতাল চালু করেছি। চট্টগ্রামের মানুষ এখন স্বল্প খরচে এখানে রেডিওথেরাপিসহ পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পাবে। ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য এখন রোগীদের চট্টগ্রামের বাইরে যেতে হবে না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সহধর্মিনী তাহমিনা রহমান, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মহসিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন চৌধুরী, পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক চৌধুরী, মুহাম্মদ আলী হোসেন সোহাগ, মুহাম্মদ আমির হোসেন সোহেল, জহিরুল ইসলাম রিংকু, আকতার পারভেজ, সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের কন্যা ফাতেমা-তুজ জোহরা। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজিজ নাজিমউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাগির, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আলমগীর পারভেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা।