চট্টগ্রাম

দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ, পৌঁছাতে পারে ১২ মে

সোমালি জলদস্যুদের হাতে এক মাসেরও বেশি জিম্মি দশায় থাকার পর মুক্তি; তারপর গন্তব্যের বন্দরে পণ্য নামিয়ে আবার নতুন পণ্য বোঝাই। সব মিলিয়ে ৪৪ দিন পর দেশের পথে রওনা হয়েছে এমভি আবদুল্লাহ।

সোমবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ।

জাহাজের মালিক কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম বলেন, মধ্যরাতে জাহাজ মিনা সাকার বন্দর থেকে নোঙর তুলে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। আগামী ১২ মে এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাতে পারে। জাহাজে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর আছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময়) জাহাজটি প্যারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি অতিক্রম করছিল।

এর আগে চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ ফেরার পথে একটি বন্দর থেকে তেল ও খাবার সংগ্রহ করবে। আশা করছি আগামী ১২ বা ১৩ মে জাহাজটি দেশে পৌঁছাবে। কুতুবদিয়ায় জাহাজের কার্গো খালাস করে চট্টগ্রাম বিচে নোঙর করবে। তখন নাবিকরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বা বাড়িতে যাবেন।’

এর আগে শনিবার রাত ৮টার দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দর থেকে কাছাকাছি দূরত্বের মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল এমভি আবদুল্লাহ।

সোমালি জলদস্যুদের হাতে এক মাসেরও বেশি সময়ের জিম্মি দশা থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ শনিবার পর্যন্ত ছিল সংযুক্ত আর আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে। সেখানে জাহাজে থাকা কয়লা খালাস করা হয়।

এরপর শনিবার জাহাজে পণ্য বোঝাই করা শেষ হয়। সেখান থেকে মিনা সাকার বন্দরে যায় জাহাজটি।

এর আগে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে এমভি আবদুল্লাহ। আগের দিন ওই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ।

এর ৩৩ দিন পর ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d