দেশে বেড়েছে সাক্ষরতার হার
ঢাকা: দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে। ২০১১ সালেও যেখানে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ, ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর ন্যাশনাল রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবিএসের তথ্য মতে, ৭৪ দশমিক ৮০ শতাংশ সাক্ষরতার মধ্যে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং নারী ৭২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। একই বয়সে জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে দেশের পল্লী এলাকায় সাক্ষরতার হার ৭১ দশমিক ৬৮ ও শহর এলাকায় ৮১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করছে ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। এসএসসি পাস করেনি সাত দশমিক আট শতাংশ। এসএসসি পাস করেছে আট দশমিক ৮২ শতাংশ। এইচএসসি পাস করেছে সাত দশমিক ২৮ শতাংশ। ডিগ্রি বা স্নাতক পাস করেছে তিন দশমিক ৬২ শতাংশ। ২০১১ সালে স্নাতক ডিগ্রিধারী ছিল এক দশমিক ৯২ শতাংশ। স্নাতকোত্তর অর্জন করেছে এক দশমিক ৭২ শতাংশ, যেখানে ২০১১ সালে মাস্টার ডিগ্রিধারী ছিল শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, দেশের মোট শিক্ষিতের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা থেকে পড়াশোনা শেষ করেছে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২০১১ সালে সাধারণে এই হার ছিল ৯৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পড়েছে সাত দশমিক ১৯ শতাংশ। ২০১১ সালে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পড়ার হার ছিল পাঁচ দশমিক ৫৮ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা শেষ করেছে শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ, যা ২০১১ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ। অন্যান্য মাধ্যমে পড়াশোনা করেছে দুই দশমিক ৭৪ শতাংশ।
জরিপে দেখা যায়, দেশের ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এদের মধ্যে মেয়েদের হার ৭৬ শতাংশ আর ছেলেদের হার ৬৯ শতাংশ। শহর ও গ্রামেও মেয়েদের এই হার ছিল বেশি। গ্রামে ৬৭ শতাংশ ছেলের বিপরীতে মেয়েদের হার ছিল ৭৫ শতাংশ। আর শহরে মেয়েদের ৭৯ শতাংশের বিপরীতে ছেলেদের হার ছিল ৭৩ শতাংশ।
জরিপে বলা হয়, ৬২ দশমিক ৯২ শতাংশ সাক্ষরতাসম্পন্ন মানুষের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ১৯ শতাংশ এবং উন্নত পর্যায়ে রয়েছে ৪৩ শতাংশ মানুষ। ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিয়ে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে এই জরিপ চালানো হয়েছে।