নগরীতে শিশু-কিশোর চালকের হাতে অবৈধ ব্যাটারি রিকশা
নিষিদ্ধ সত্ত্বেও নগরীর অলিগলি ও মূল সড়কে ৪০ হাজারের বেশি ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করছে। এসব রিকশার চালকদের বেশির ভাগই শিশু-কিশোর। কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ বা নিয়ম নীতি না জেনেই তারা ব্যাটারি রিকশার স্টিয়ারিং হাতে নিচ্ছে। এতে মূল সড়কে যানজট বেড়েছে। একই সাথে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি ঘুরে ব্যাটারি রিকশার দৌরাত্ম্য ও শিশু কিশোরের হাতে ব্যাটারি রিকশা চালনার বিষয়টি দেখা যায়। নবনির্মিত বাকলিয়া এক্সেস রোডে অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় ব্যাটারি রিকশার আধিপত্য বেশি। এসব চালকের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছর। কোনরকমে চালকের সিটে বসে তারা যাত্রী পরিবহন করছেন।
দেখা গেছে, এসব রিকশার নেই কোন ফিটনেস ও রুট পারমিট, চালকদের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। যে কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। রিকশা হিসেবে এসব যানবাহন স্বীকৃতি না পেলেও নগরীর আনাচে কানাচে এসব রিকশার দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। এসব অদক্ষ চালকদের অনেকেরই প্রতিষ্ঠানিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা না থাকায় যাত্রীদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। ভাসমান এসব অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে জোর করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, শিশু কিশোররা রিকশা চালানোর ক্ষেত্রে রাস্তার উভয়দিক, ডান-বাম, সাইট, ওভারটেক কিছুই চেনে না। তবুও তারা রিকশাচালক। তারা রাস্তায় অতি দ্রুত গতিতে রিকশা চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে।
জানা যায়, অসাধু রিকশা মালিক চক্র রাতের বেলা অবৈধভাবে সরকারি বিদ্যুৎ দিয়ে ব্যাটারি চার্জ করেন। এ রকম কয়েক হাজার গ্যারেজ রয়েছে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। এরা চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও সে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে হয় সাধারণ গ্রাহকদের। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুকৌশলে এসব শিশু-কিশোরদের রিকশা চালাতে বাধ্য করে চক্রটি। যার কারণে পুলিশের চোখের সামনে পড়লেও গ্যারেজ মালিকদের সখ্যতার কারণে শিশু কিশোর চালকরা বেপরোয়া। এতে দিন দিন শৃঙ্খলা হ্রাস পাচ্ছে এবং বিশৃঙ্খলা বাড়ছে। অন্যদিকে অবৈধ বিদ্যুৎ আর রিকশা চলাচলের কারণে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।