নজর এখন লালদিয়া টার্মিনালে, বিনিয়োগ হবে ৪শ মিলিয়ন ডলার
নগরীর পতেঙ্গায় বিমানবন্দর সড়কের পাশে গড়ে ওঠা পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল সম্প্রতি চালু হয়েছে। এবার নজর তারই পাশে লালদিয়ার চরে। সেখানে গড়ে উঠবে আরেকটি আধুনিক টার্মিনাল। যার পরিচিতি পাবে লালদিয়া টার্মিনাল নামে।
ইতিমধ্যে এই লালদিয়ার চরে নতুন কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) কর্তৃপক্ষ বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনকে (আইএফসি) ডেনমার্কের সঙ্গে টার্মিনাল নির্মাণের সমীক্ষা, নকশা ও আলোচনার জন্য লেনদেন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ১০ জুন এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়।
বাংলাদেশ-ডেনমার্ক সরকারের মধ্যকার জিটুজি চুক্তির আওতায় পিপিপি মডেলে এটি তৈরি করবে ডেনমার্ক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস। ৪৬ একর জমিতে এই টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে। প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালের দৈর্ঘ্য হবে ৪৫০ মিটার, বার্থের গভীরতা হবে সাড়ে ১০ মিটার এবং জাহাজের ড্রাফট হবে সাড়ে ৯ মিটার।
প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটিতে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) হবে বিধায় এ বিনিয়োগ দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি এ চুক্তি হতে বার্ষিক ফি ও রাজস্ব অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় বাড়বে। এছাড়াও প্রায় ১ হাজার জনের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
প্রথম দিকে লালদিয়ার চরে বাল্ক কার্গো টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কনটেইনার এবং বাল্ক কার্গো উভয়ই পরিচালনার জন্য সেখানে একটি বহুমুখী টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। গত বছরের শুরুর দিকে মায়েরস্ক গ্রুপ লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনায় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব জমা দেয়।
মায়েরস্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান রবার্ট মের্স্ক উগ্লা এবং বাংলাদেশে ডেনিশ চার্জ ডি এফেয়ার্স এন্ড্রেস বি কার্লসেন গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে তাদের প্রস্তাবটি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।