নতুন প্রজন্ম দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এগিয়ে আসছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো। নতুন প্রজন্ম যেভাবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এগিয়ে আসছে, তা খুবই আশাপ্রদ।
শিক্ষিত তরুণরা যেন কেবল চাকরির পেছনে না ছুটে. নিজেকে ও দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠে, তার অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে এই খামার।
রোববার (৫ মে) সকালে নগরের দুই নম্বর গেট মেয়র গলিতে গ্রীন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রীকে বরণ করে নেন প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন। তিনি মন্ত্রী মহোদয়কে খামারের বিভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেখান। এ সময় খামারে থাকা পশুগুলোর পরিচর্যায় ব্যবহৃত খাবার ও অন্যান্য সামগ্রীর মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মন্ত্রী। পরে, দুগ্ধজাত নানান পদের খাবারও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীকে উপহার দেন বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ইংল্যান্ড থেকে পড়াশোনা করে এসে অর্থকরী আরো বড় বড় শিল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি খামারি হয়ে উঠেছেন, তার জ্ঞান ও মেধাকে কৃষি ও পশুপালন ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করছেন। পশুদের প্রতি তার প্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার এ দৃষ্টান্ত দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। এতে দেশ উপকৃত হবে।
বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন বলেন, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে তরুণরা বর্তমানে কৃষি ও পশুপালনে এগিয়ে আসছে। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় দেশবাসী ও খামারিরা এর সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না। গ্রীন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো এক্ষেত্রে সচেষ্ট। আমাদের খামার একইসঙ্গে পশু মোটাতাজাকরণ এবং পুষ্টিগুণ ও মানসম্মত দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিতে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। চট্টগ্রামের নানান এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে দুধ বিতরণ করছি আমরা।