ধর্ম

নবজাতকের কানে আজান দেওয়া হয় কেন?

মুসলিম নবজাতকের জন্মের পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রথমেই তার কানে আজান দেওয়া হয়। শিশুর কানে আজান ও ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব। এ ব্যাপারে বেশির ভাগ ওলামায়ে কেরাম একমত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও তার নাতি হাসান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর কানে আজান দিয়েছিলেন।

উবাইদুল্লাহ ইবনে আবু রাফি রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা যখন আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর ছেলে হাসান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে প্রসব করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কানে নামাজের আজানের ন্যায় আজান দিয়েছিলেন। (আবু দাউদ, হাদিস, ৫১০৫)

আরেক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যার সন্তান হয়, সে যেন তার ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেয়। (শুআবুল ইমান, হাদিস, ৮৬১৯)।

নবজাতকের কানে কী কারণে আজান দেওয়া হয় এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে। কেউ কেউ লিখেছেন, শিশুর কানে আজান-ইকামত দেওয়ার অর্থ হলো তাকে এই কথা বলে দেওয়া যে আজান-ইকামত হয়ে গেছে, এখন শুধু নামাজের অপেক্ষা (নামাজ শুরু হতে সামান্য বিলম্ব, তা-ই তোমার জীবন)

হজরত থানভী রহ. বলেন, ‘আজান-ইকামতের মাধ্যমে শিশুর কানে প্রথমেই আল্লাহর পবিত্র নাম পৌঁছে দেওয়া, যেন তার প্রভাবে তার ঈমানের ভিত্তি মজবুত হয়ে যায় এবং শয়তান দূরে সরে যায়। এই দুটি হিকমতেরই সারমর্ম হলো দুনিয়াতে আসার পর তুমি আল্লাহকে ভুলে গাফেল হয়ে থেকো না। (তরবিয়তে আওলাদ, হজরত থানভী রহ.)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d