লাইফস্টাইল

নায়িকাদের মতো ছিপছিপে শরীর পেতে

অনেকেই ভাবেন, জিমে গিয়ে ভারী ওজন তোলা কিংবা ট্রেডমিলে ঘাম ঝরানোকেই শুধু শরীরচর্চা বলে। কিন্তু শরীরের গড়ন ধরে রাখা, বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলার একমাত্র উপায় জিম নয়।

জিমে যাওয়ার সময় না থাকলে অন্যান্য শারীরিক কসরতের মাধ্যমেও কিন্তু শরীর চাঙা রাখা যায়।
হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা তার মধ্যে অন্যতম। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার অভ্যাস শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, মাংশপেশির গঠন এবং শরীরের ভারসাম্য দৃঢ় করতে খুবই কার্যকর। বেশি ক্যালোরি ঝরানো এবং পেশির টোনিংয়ে সাহায্য করে এই কসরত। তাই লিফ‌ট কখন আসবে, তার জন্য অপেক্ষা না করে সারাদিনে কয়েক বার খুব সাধারণ এই কসরত করলে হ্যামস্ট্রিংয়ের জোর বাড়ে। হাঁটুর মাংসপেশি মজবুত হয়। আর কী কী উপকার মেলে এই কসরত করলে?

সমতল ভূমিতে দৌড়নো কিংবা হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় শরীরের মাংসপেশিগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। সমতলে হাঁটার সময় শুধুমাত্র পায়ের পেশিই সক্রিয় থাকে। তবে সিঁড়িতে চড়ার সময় আপনার নানা রকম পেশি একসঙ্গে কাজ করে। মেদমুক্ত পেশির জন্য এটি খুব কার্যকর একটি কসরত।

ওজন নিয়ে চিন্তিত? ছিপছিপে শরীর পেতেও এই ব্যায়ামের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। এই ব্যায়ামে কিন্তু ভালোমাত্রায় ক্যালরি ঝরে। আর ক্যালরির খরচ হলেই কিন্তু শরীরের মেদ কমতে শুরু করে।

জিমে যাওয়ার সময় না থাকলে অন্যান্য শারীরিক কসরতের মাধ্যমেও কিন্তু শরীর চাঙা রাখা যায়।

সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই ব্যায়াম উপকারী। এই কসরতের ফলে ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং হৃদ্‌স্পন্দন স্বাভাবিক থাকে।

সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। রক্ত সঞ্চালন ভালো হলে হরমোন গ্রন্থি থেকে ভালো হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এর ফলে মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ে। মেজাজও ভালো থাকে। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হলে মস্তিষ্কেও রক্ত ঠিকঠাক পৌঁছয়। মাইগ্রেনের মতো সমস্যা থেকে রেহাই মেলে।

দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগলে, এ ব্যায়াম নিয়মিত করে উপকার পেতে পারেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি এই কসরতেও নজর দিলে ভালো।

সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার সময় আপনার ভঙ্গিমা যেন ঠিক থাকে। মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। সামনের দিকে ঝুঁকে পড়বেন না। শুরুতেই তাড়াহুড়ো নয়। ধীরে ধীরে শুরু করুন এবং পরে গতি বাড়ান। এই কসরতের জন্য সঠিক স্পোর্টস শু প্রয়োজন। যেকোনো জুতো পরে এই কসরত করলে পায়ে টান ধরা বা চোট লাগার আশঙ্কা থেকে যায়।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার জন্য লেখা। কোনো জটিল অসুখ থাকলে কিংবা বাতের সমস্যা থাকলে এই কসরত করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d