নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে: নাছির
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মাহে রমজানকে সামনে রেখে দেশবিরোধী অপশক্তি সুকৌশলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে গণমানুষের দুর্ভোগ বাড়াতে চায়।
‘তাদেরকে চিহ্নিত করে প্রতিটি মহল্লায়, ওয়ার্ডে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তোলা হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দেশপ্রেমিক সরকার ও আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে’।
সোমবার (২৫ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার আরাধ্য স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আগে আমাদের প্রত্যেককে স্মার্ট সিটিজেন হতে হবে জানিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা চাই একটি সুশিক্ষিত দেশপ্রেমিক প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক উৎপাদনমুখী নাগরিকে পরিণত হতে। এই নাগরিকরাই ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত করার অগ্রবর্তী বাহিনী হিসেবে নিবেদিত হবে। জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে আমাদেরকে তাদের সেবক ও সতীর্থ হতে হবে। তাহলেই সংগঠনের ভিত্তি মজবুত হবে। এই শক্তিশালী সংগঠনই শক্তিশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষমতা অর্জন করবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সাল থেকেই। এই মুক্তির সংগ্রাম ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলমান ছিল। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নারকীয় গণহত্যা শুরুর সাথে সাথেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়। তাই এই মুক্তির সংগ্রাম এখনো চলমান। কেননা বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা বাস্তবায়ন ও সর্বস্তরের গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম কায়সার প্রমুখ।
সভার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শাহাদাৎ বরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চারনেতাসহ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির প্রয়াত জননেতাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।