নির্বাচনের পর আমেরিকা আরও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচনের পর ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আত্মবিশ্বাসী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, গুয়েতেমালা বা কম্বোডিয়ার পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই। তাই নির্বাচনের পর ভিসা বা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নেবে না বাইডেন প্রশাসন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতন্ত্র সুসংহত রাখতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপনই করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার।
সম্প্রতি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালার ১০০ এমপিসহ ৩০০ নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ভোটে কারচুপির অভিযোগে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে কম্বোডিয়া।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও স্বচ্ছ ও অবাধ করার তাগিদ দিয়ে এরই মধ্যে ভিসানীতি প্রয়োগের কথা বলে আসছে ওয়াশিংটন। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতা গুয়েতেমালা বা কম্বোডিয়ার মতো নয় দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, তেমন কোনো কিছুর শঙ্কা করছে না সরকার।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করিনা। আমাদের স্যাংশন আসার কোনো কারণ নেই। আমরা এমন কোনো অন্যায় করিনি। নির্বাচন স্বচ্ছ হবে এবং আমেরিকা আমাদের আরও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হবে।’
বিএনপিবিহীন নির্বাচন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে জানতে চাইলে আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া ও মিয়ানমারের উদাহরণ সামনে এনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বড় দল বাদেও মিশরে নির্বাচন হয়েছে। তারা ধারেকাছেও আসতে দেয় নাই। ওখানে সিসি সাহেব (আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি) নির্বাচিত হয়েছেন। ওনাকে কি কেউ অস্বীকার করেছেন? ওগুলো অবান্তর। প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে ইলেকশন হলো, সেখানে অং সান সূচি জিতলেন। সেখানে রোহিঙ্গাসহ মাইনরিটি গ্রুপগুলো ভোট দিতে পারেনি। আমেরিকা সেইটাও স্বীকার করেছে। ওগুলো অবান্তর জিনিস।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী দেশ। তারা একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। আওয়ামী লীগ সরকারও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সচল রাখতে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।