নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকায় তত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার বিষয়ে জোর দিয়েছে বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কর্মকর্তারা। তাদের মতে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকার কারণে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশের দ্বাদশ নির্বাচন বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নেপালের নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক কমিশনার বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসেন মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
মালদ্বীপের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফুয়াদ তৌফিক বলেন, ২০০৮ সালে মালদ্বীপে বহুদলীয় গণতন্ত্র শুরু হয়। এখন পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন হয়। রাজনীতিক দলের ভিন্নমুখী পররাষ্ট্র নীতির কারণে মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টকে অনেক সময় চীনপন্থি বা ভারতপন্থি হিসাবে অভিহিত করা হয়। কিন্তু মালদ্বীপ নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে।শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচন কমিশনার আর এম এ এল রত্নায়েকে বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার নির্বাচন পদ্ধতির মধ্যে অনেক সামঞ্জস্যা আছে।
ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কোরেশি বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে এই অঞ্চলের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা চীনের কথা বলি কিন্তু এর চারপাশের দেশগুলোতে সফল গণতন্ত্র আছে।
নির্বাচন বয়কট করা ভুল সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে তত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে থাকে। কিন্তু নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশন হচ্ছে তত্বাবধায়ক সরকার এবং এজন্য অন্য কোনো ধরনের সরকারের প্রয়োজন নেই।
নেপালের নির্বাচন কমিশনার শগুন সমশের জেবি রানা বলেন, নেপালের নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যুব সম্প্রদায়কে ভোটে উৎসাহিত করা। এছাড়া নির্বাচন অর্থায়ন নিয়ন্ত্রন করাও আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। নেপালের সাবেক নির্বাচন কমিশনার ইলা শর্মা বলেন, গণমাধ্যমকে নির্বাচন বিষয়ে তথ্য দিতে হবে। অন্যথায় বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসেন মূল বক্তব্যে বলেন, এবারের নির্বাচন বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এর বড় কারণ হচ্ছে আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার নির্বাচনে জয়লাভ করেছে।