নির্বাচন নিয়ে কঠোর ইসি, বিধি লঙ্ঘনে প্রার্থীদের শোকজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আচরণবিধি নিয়ে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে সংসদের হুইপ, মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যাক্তি এমনকি তারকাখ্যাতি সম্পন্নদেরও শোকজ করেছে ইসি। এই ধারাবিকতায় আরও চার প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।
জানা যায়, মনোনয়নপত্র জমাদানের আগে-পরে মিছিল, মিটিং, মোটর শোভাযাত্রা, বিপুল গণজমায়েত ও শোডাউনের ঘটনায় একের পর এক শোকজ দিয়ে যাচ্ছে ইসি, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রার্থীর কর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে।
ইসি সূত্র জানায়, দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন থেকে সারা দেশেই প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। দলের মনোনয়ন পেয়ে অনেক প্রার্থীই নিজ নিজ সংসদীয় আসনে বিশাল মিটিং, মিছিল, মোটর শোভাযাত্রাসহ নানাভাবে শোডাউন করছেন। অনেক প্রার্থী রাস্তাঘাট বন্ধ করে গণসংবর্ধনাও নেন। আবার আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন কোনো কোনো প্রার্থী। সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের এ বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। এসব বিষয়ে শুরুতে নির্বিকার থাকলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি ফলাও করে প্রচারের পর নড়েচড়ে বসে কমিশন। গত বৃহস্পতিবার থেকে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয় অভিযুক্ত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। সারা দেশে বিভিন্ন প্রার্থীকে একের পর এক শোকজের খবর আসে নির্বাচন কমিশনে। ওইদিন সরকারের চার মন্ত্রীসহ অন্তত ৩০ জন প্রার্থীকে শোকজের তথ্য আসে কমিশনে। এ ধারা গতকালও অব্যাহত ছিল।
ইসি সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-১২ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী পুলিশ প্রটোকলে জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। আচরণবিধি ভঙ্গ করে মনোনয়ন জমা দিতে আসায় তাকে শোকজ করে ইসির অনুসন্ধান কমিটি। তাকে আগামীকাল রোববারের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও এই তালিকাভুক্ত।