নৌ-যোগাযোগ বন্ধ,২৪২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত হাতিয়ায়
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছ। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আজ মঙ্গলবার দুপুরেও ঝরতে দেখা যায়। সব ধরনের নৌযান তীরে নোঙর করে রাখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিষয়ে কথা হয় হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকীর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারির পর হাতিয়ার সঙ্গে সব ধরনের নৌ যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌ যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। আজ দুপুরে উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির জরুরি সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সম্ভাব্য প্রস্তুতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এরই মধ্যে উপজেলার ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইউএনও।
হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল থেকে নদী উত্তাল থাকায় চেয়ারম্যানঘাট থেকে হাতিয়ার নলচিরা ও তমরুদ্দিসহ কোনো ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ছেড়ে যায়নি। আজ সকাল থেকে যাত্রীবাহী ট্রলারের চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে হাতিয়া যেতে কিংবা হাতিয়া থেকে জেলা শহরে আসতে পারছেন না।
হাতিয়ায় আটকে পড়া একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকালে তাঁরা কয়েকজন নলচিরা ঘাটে গিয়েছিলেন জেলা শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, নৌযান চলাচল বন্ধ। পরে তাঁরা ফিরে গেছেন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় আজ দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সভায় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শেষে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।