পটিয়ায় দুই প্রার্থীতে বিভক্ত নেতাকর্মীরা, দ্বন্দ্বের শংকা
পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। সভা-সমাবেশে উত্তপ্ত বক্তব্যে গরম করছেন নির্বাচনী মাঠ। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের আশঙ্কাও বাড়ছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুনুর রশিদ ও দিদারুল আলমের পক্ষে তৃণমূলে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হলেও সিনিয়র নেতারা রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। তারা প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও অধ্যাপক হারুনুর রশিদের পক্ষেই মৌন সমর্থন রয়েছে অধিকাংশ নেতাদের।
জানা গেছে, পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের ৫ প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। এরমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ ও নগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. দিদারুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। বাকি তিন নেতা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল আলম বলেন, ইতিমধ্যে আমার পক্ষে ১৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও মাননীয় ‘সংসদ সদস্য’ আমার পক্ষে আছেন। যদিও তিনি প্রকাশ্যে কোন কিছু করতে পারবেন না। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগসহ সর্বস্তরের জনগণ আমার সাথে রয়েছে। আমি আশাবাদি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হব।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী হারুনুর রশিদ বলেন, যেহেতু নেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন নেতা-কর্মীরা যাকে পছন্দ করে তার পক্ষেই কাজ করতে পারবেন সেহেতু তারা সে নির্দেশনা মেনেই কাজ করছেন। দলের বেশিরভাগ নেতা-কর্মীরাই আমার পক্ষে আছেন। তবে কিছু কিছু নেতা তৃনমূল নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করছে। আমি তাদেরকে এ থেকে সরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। সংসদ সদস্যের কোন সমর্থন তার প্রতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নেত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সংসদ সদস্য নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন। তিনি কারো পক্ষ নেননি, এমনিক বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তার বক্তব্যে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও দলের নির্দেশনা মোতাবেক কারো পক্ষে আমার কাজ করার কোন সুযোগ নেই। চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল আলমের পক্ষে আপনার সমর্থন রয়েছে এমনটাই শোনা যাচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে এমপি বলেন, নেত্রী আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন নিরপেক্ষ থাকতে এর বাইরে যাওয়ারও কোন সুযোগ নেই।