পটিয়ায় মহিলা মেম্বারের দাঁত ফেলে দিল চেয়ারম্যান
পটিয়ায় এক মহিলা সদস্যকে মেরে দাঁত ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম নাছিমা আক্তার (৪৮)। গতকাল রবিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। নাছিমা আক্তার শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য ও স্থানীয় মহিলা আ.লীগ নেত্রী। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত নাছিমা আকতার জানান, রবিবার (গতকাল) ভিজিডি চাউল বরাদ্দের তালিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত মিটিংয়ের এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান থেকে আমার বরাদ্দের নলকুপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের ভাইপো মো. সায়েম আমাকে চুল ধরে টেনে হিঁছড়ে মাটিতে ফেলে মারধর করে। এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান নিজেও আমাকে মারধর করে। এসময় আমার দাঁত পরে গিয়ে মুখ দিয়ে প্রচুর রক্ত বের হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এহছানুল হক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ভিজিডি চাউল বরাদ্দের তালিকা প্রণয়ন করতে ইউপি সদস্যদের নিয়ে মিটিং করা হয়। এসময় আমি স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে তালিকা প্রণয়ন করতে বলি। এবং নৌকার লোক ছাড়া কাউকে তালিকায় অন্তর্র্ভুক্ত করতে নিষেধ করি। এটি শুনে নাছিমা মেম্বার রাগান্বিত হয়ে মিটিং থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বাইরে সায়েম মেম্বারের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সায়েম মেম্বারের আঙ্গুলে কামড় দিয়ে নাছিমা আক্তার তাকে রক্তাক্ত করে। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সায়েম মেম্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেম্বার কল্যাণ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. হাসেম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোহাম্মদ মুসা তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন জানান, শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদে মহিলা মেম্বারকে মারধরের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।