চট্টগ্রাম

পতেঙ্গায় সিডিএ’র ‘বে-পার্ল হাউজিং’

নগরীর পতেঙ্গায় ‘বে-পার্ল হাউজিং’ নামের আবাসিক প্রকল্প করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রকল্প গ্রহণের জন্য গত সপ্তাহে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রকল্পের ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যান (ডিপিপি) প্রেরণ করেছে সংস্থাটি। মোট তিনটি পর্যায়ে প্রায় ৬০ একর জায়গায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় সিডিএ। প্রায় ২০ একর জায়গায় প্রথম পর্যায়ের এই প্রকল্পে থাকবে ১১৪ আবাসিক এবং ৫টি বাণিজ্যিক প্লট। প্রতিটি প্লট হবে ৪ থেকে ৬ কাটার। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরীর উত্তর ও দক্ষিণ পতেঙ্গা মৌজাস্থ প্রায় ১৯ দশমিক ৫৫ একর জমিতে ‘চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বে-পার্ল হাউজিং প্রকল্প প্রকল্পের উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি আবাসিক প্লট। প্রতিটি প্লট হবে ৪, ৫ ও ৬ কাটার। ৫টি বাণিজ্যিক প্লট এবং একটি সিডিএ কনডোমিনিয়াম ফ্ল্যাট প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত প্লটসহ মসজিদ, পার্ক, ফুড কোর্ট, খেলার মাঠ, স্কুল, কলেজ, হেলথ সেন্টার, কমিউনিটি সেন্টার, শপিং কমপ্লেক্স, কাঁচা বাজার, বনায়ন ইত্যাদি উন্নয়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ পূর্বকোণকে বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা এলাকার কর্ণফুলী আবাসিক প্রকল্প, অনন্যা আবাসিক প্রকল্পসহ সিডিএ’র যেসব আবাসিক এলাকায় এখনো বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে ওঠেনি সেখানে স্থাপনা নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীতে নতুন আবাসন প্রকল্পেরও প্রয়োজন রয়েছে। সেই গুরুত্ব বিবেচনা করে পতেঙ্গায় নতুন আবাসিক প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, এই আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, গত একযুগের বেশি সময় ধরেও নতুন কোন আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি সিডিএ। সর্বশেষ সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ‘অনন্যা আবাসিক দ্বিতীয় পর্যায়’ একটি প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেয়। তবে অর্থ জটিলতায় পরে প্রকল্পটি আর বাস্তবায়ন হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d