পদচাপায় নিহত ১১৬, সেই ‘ভোলেবাবা’কে খুঁজছে পুলিশ
ভারতের উত্তরপ্রদেশে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। প্রদেশটির হাথরস জেলায় ধর্মীয় আয়োজনটি করেছিলেন ‘ভোলে বাবা’ নামে পরিচিত এক ব্যক্তি।
সেই ‘সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবা’কে ঘটনার পর থেকে খুঁজছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইতোমধ্যেই। পুলিশের অনুমান, ফুলরাই গ্রাম, অর্থাৎ যেখানে ওই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরে মাইনপুরীর আশ্রমে রয়েছেন ‘ভোলেবাবা’।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোলে বাবা প্রায়ই তার ভক্তদের কাছে দাবি করে থাকেন তিনি গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছেন। তিনি ভক্তদের আরও বলে থাকেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সময়ই আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং ১৯৯০ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
ভোলে বাবার অন্যতম একটি আলাদা দিক হলো তিনি ভারতের অন্যান্য ধর্মগুরুর মতো জাফরান রঙের পোশাক পরেন না। এর বদলে সাদা স্যুট এবং টাই পরেন। এছাড়া তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে কুর্তা-পায়জামা।
ভক্তদের কাছে কথিত এই ধর্মগুরু বলে থাকেন, তারা তাকে যেসব অর্থ দেয় তার কিছুই নিজের জন্য রাখেন না। এর বদলে ভক্তদের পেছনেই সব অর্থ ব্যয় করেন। নারায়ণ হরি নিজেকে হরির শিষ্য হিসেবে অভিহিত করেন এবং উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে তার বেশ ভালো পরিমাণ ভক্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র ছিল। এরমধ্যে অস্থায়ী তাঁবু গেড়ে সেখানে অনুষ্ঠানটি করা হয়েছিল। ওই তাঁবুর ভেতর থাকা মানুষ একটা সময় দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে পড়েন। এরপর অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর দ্রুত বের হয়ে গেলে অনেকে পদদলিত হয়ে নিহত হন।
আধুনিক ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল থাকে। কিন্তু ‘ভোলে বাবা’ এসব থেকে দূরে থাকেন। কোনো অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট নেই। তার অনুসারীদের দাবি, একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে নিয়ে তিনি কাজ করেন। ফলে এক বিপুল সংখ্যক মানুষের ওপর তার প্রভাব রয়েছে।