জাতীয়

পরীক্ষা বাতিলে অসন্তোষ হাসনাত-সারজিসের

এদিকে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম।

এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা মঙ্গলবার সচিবালয়ের গেট ভেঙে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে একটি অস্থিতিশীল এবং অপ্রত্যাশিত পরিবেশ তৈরি করেছেন বলে মন্তব্য করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সচিবালয়ে শিক্ষা সচিব মহোদয় থেকে শুরু করে আমাদের সবাইকে অবরুদ্ধ করে এক ধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থা অর্থাৎ সেখানে তৈরি কর হয়।

সেজন্য সচিব, শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এই যে পরীক্ষা বাতিল করার বিষয়কে আমরা কখনোই সমর্থন করি না। কারণ পরীক্ষা ছাড়া একটা শিক্ষার্থীকে কখনোই মূল্যায়ন করার সুযোগ নেই। পরীক্ষায় হচ্ছে একটি শিক্ষার্থীর মেধা মূল্যায়নের একমাত্র মাধ্যম। এই যে পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে যারা প্রকৃত মেধাবী যারা সারা বছর ধরে পড়াশোনা করেছে তাদেরকে মূলত অনুৎসাহিত করা হলো। সুতরাং আমরা চাইবো আর কখনোই যেন চাপে পড়েই হোক বা যেকোনো কারণেই হোক এই ধরনের সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

এদিকে স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন সারজিস আলম।

সারজিস বলেন, পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী রূপ বদলিয়ে অযৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে নামছে। তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। তাদের আন্দোলনের পথ সঠিক নয়। ছাত্র জনতা আন্দোলন করেছে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবার পর।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে মঙ্গলবার স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিল হলেও তাদের মূল্যায়ন কিভাবে হবে সে বিষয়ে পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ৩০ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবারে পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই ও ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d