পর্তুগালকে হারিয়ে জর্জিয়ার ইতিহাস
একদমই অবিশ্বাস্য! ইউরোর মঞ্চে প্রথমবার এসেই রূপকথা লিখে ফেলল জর্জিয়া। লিখে ফেলল ইতিহাস। তাও আসরের অন্যতম হট ফেভারিট পর্তুগালকে হারিয়ে।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই শেষ ষোলোয় উঠে গেছে পর্তুগাল। এ ম্যাচে তা-ই কেবল শীর্ষস্থান মজবুত করার লক্ষ্য নিয়েই নামে তারা। কিন্তু জর্জিয়ার জন্য ছিল তা বাঁচা-মরার লড়াই। হারলে বা ড্র করলে বিদায় নিতে হতো আসর থেকে। কিন্তু তা আর হলো কই! পর্তুগালকে ২-০ গোলে হারিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়ে শেষ ষোলোয় নাম লেখাল জর্জিয়া।
হতে পারে তা ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটন। কিন্তু জর্জিয়ার জন্য তাদের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সেরা রাত। র্যাংকিংয়ে ৭৪ নম্বর দল হয়েও তারা গুঁড়িয়ে দিল ৬৮ ধাপ এগিয়ে থাকা পর্তুগালকে। এমন একটি গল্পের খলনায়কে পরিণত হয়ে নিশ্চয়ই আক্ষেপ পুড়ছেন আন্তোনিও সিলভা। জর্জিয়ার দুটো গোল যে পর্তুগিজ এই ডিফেন্ডারের বদৌলতেই পাওয়া।
ভেলতিন অ্যারেনায় ম্যাচের মাত্র ৯৩ সেকেন্ডেই এগিয়ে যায়। সিলভার ভুল পাসে বল পেয়ে যান মিকাউতাদজে। তার পাস থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি নাপোলিতে খেলা মিডফিল্ডার কাভিচা কাভারাৎসখেলিয়া। সমতায় ফিরতে মরিয়ে হয়ে ওঠা পর্তুগাল কোনোভাবেই জর্জিয়ার রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। হতাশায় মাঠের মধ্যেই বেশ কয়েকবার মেজাজ হারিয়ে ফেলেন পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। হলুদ কার্ডও দেখতে হয় তাকে। প্রথমার্ধে তার ফ্রি কিক ফিরিয়ে দেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক জিওর্জি মামারদাশভিলি।
বিরতির পর আবারও শুরুতে এগিয়ে যায় জর্জিয়া। এবারও ভুলটা করেন সিলভা। বক্সের ভেতর মিকাউতাদজেকে ফাউল করে বসেন এই ডিফেন্ডার। ৫৭ মিনিটে অর্জন করে নেওয়া সেই পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিকাউতাদজে। এবারের আসরে এটি তার তৃতীয় গোল। এরপর আর জর্জিয়ার জয় ঠেকায়। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে মেতে ওঠে তারা।
হারলেও ৬ পয়েন্ট নিয়ে এফ গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রাখে পর্তুগাল। শেষ ষোলোয় তাদের প্রতিপক্ষ স্লোভেনিয়া। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে জর্জিয়া। যদিও সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আরেক পরাশক্তি স্পেন।
এদিকে গ্রুপের আরেক ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে নকআউটে উঠেছে তুরস্ক। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অস্ট্রিয়ার মুখোমুখি হবে তারা।