পর্যটক ধর্ষণ মামলার আসামি টেকনাফে গ্রেপ্তার
কক্সবাজার সদর মডেল থানায় পর্যটক ধর্ষণ মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি মিজানুর রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
মঙ্গলবার (৪ জুন) টেকনাফের ঝিমংখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান ওই উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী গ্রামের মো. হোছনের ছেলে।
র্যাব-১৫ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গাজীপুর থেকে কক্সবাজারে ঘুরতে এসে ধর্ষণের শিকার এক ভুক্তভোগী মহিলা কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিগত প্রায় ৭-৮ মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিজানুর রহমানের সাথে ভুক্তভোগী মহিলার পরিচয় হয় এবং তখন থেকে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে মিজানুর রহমান ভুক্তভোগী মহিলাকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসার জন্য বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করতে থাকে। ফলে ভুক্তভোগী মহিলা গত ৭ জানুয়ারি তার দুই মেয়ে এবং ভাগিনাকে নিয়ে কক্সবাজারে আসে এবং আগে থেকে বুকিং দেয়া কলাতলীস্থ হোটেল ভিসতা বে তে উঠেন। হোটেলে অবস্থানকালে গত ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় ভুক্তভোগী মহিলাকে সৌজন্যমূলক কথা-বার্তার জন্য মিজানুর রহমান তার নামে বুকিংকৃত হোটেল ভিসতা বে এর ৬ষ্ঠ তলার ৫০৫ নম্বর কক্ষে ডেকে নেয় এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন প্রকার ভীতি প্রদর্শন করে ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একই সাথে ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে যেন কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয় তার জন্যও বিভিন্ন হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এরূপ পরিস্থিতিতে ভিকটিম কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে পুনরায় গাজীপুরে ফিরে যায়। পরবর্তীতে ধর্ষক মিজানুর রহমান তার নিকট ভিকটিমের বিভিন্ন অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি রয়েছে মর্মে ভুক্তভোগী মহিলার আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ এবং বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে। ধর্ষণসহ এহেন জঘন্য ঘটনা সংগঠিত করায় মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভিকটিম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৩ জুন মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তারে র্যাব-১৫ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও র্যাবের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪ জুন র্যাব-১৫ টেকনাফ থানাধীন ঝিমংখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।