পাওনা টাকা জন্য অপহরণ, গ্রেপ্তার ৪
আলাউদ্দিন সবুজ ও হাসান দুইজনেই পূর্বপরিচিত। সেই সুবাদে নিজের ভবন নির্মাণের কাজও দিয়েছিলেন সবুজকে।
তবে সবুজের মনে ছিল অন্য ভাবনা। তাই গত সোমবার নোয়াখালী যাওয়ার কথা বলে হাসানকে নিয়ে চলে যান কুমিল্লায়।
সেখানে আরও তিনজনের সহায়তায় তাকে জিম্মি করে দাবি করেন পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ। কিন্তু মুক্তিপণ পাওয়ার আগেই পুলিশের অভিযানে ৩ সহযোগী সহ গ্রেপ্তার হন সবুজ।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোরে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে অপহরণে জড়িত চার জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ভিকটিমকে উদ্ধার করে বায়েজিদ থানা পুলিশ।
অন্য গ্রেপ্তাররা হলো-মো. লিটন (৩৭), রুবেল হোসেন বাদশা (২১) ও মো. আব্দুল রহমান বাদল প্রকাশ হৃদয় (২০)।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ভিকটিম ও মূল অভিযুক্ত আলাউদ্দিন সবুজ পূর্বপরিচিত। তারা দুইজনেই ইউরোপ যাওয়ার জন্য দালালকে টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু আর ফেরত পাননি। এজন্য সবুজ ভিকটিম হাসানকে দায়ী করতো। মূলত এ টাকা উদ্ধারের জন্য অপহরণের পরিকল্পনা করে সে।
তিনি আরও বলেন, ভিকটিমের স্ত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযানে নেমে ৪ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সমর্থ হই। গ্রেপ্তার ৪ অপহরণকারী আদালতের মাধ্যেমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।