পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড পরিমাণ টাকা মিলল
কিশোরগঞ্জ: জেলার ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) তিন মাস ২০ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এরপর গণনা করে রেকর্ড ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ.টি.এম ফরহাদ চৌধুরী, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, ব্যাংকের ৫০ জন কর্মী, মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
এরআগে, এদিন সকালে মসজিদের ৯টি দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। দানবাক্সগুলো (সিন্দুক) খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে ২৩টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ। সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। এবার তিন মাস ২০ দিন পর মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে এবার রেকর্ড পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে।
এরআগে, সর্বশেষ চলতি বছরের ১৯ আগস্ট মসজিদের দান বাক্স (সিন্দুক) খুলে গণনা করে পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ নয় হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স অবস্থিত। ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫০ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।