পার্বত্য চট্টগ্রামের সংঘাত নিরসনে ছাত্র সমাজকে কাজ করতে হবে: চবি উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের বলেছেন, “সম্প্রতি পাহাড়ি জনপদে আবারও কিছু বিপদগামী গোষ্ঠি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্ঠির পাঁয়তারা করছে। এ ব্যাপারে ছাত্র ও যুবসমাজকে সচেতন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংঘাত নিরসনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
মঙ্গলবার (১১ জুন) চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশের (সিসিআরএসবিডি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়নের পথে পার্বত্য চট্টগ্রাম: সশস্ত্র সংঘাত ও তথ্য বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে ছাত্র-যুবসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
এতে উপাচার্য আরও বলেন, “প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের ১০ ভাগের এক ভাগ। উপনিবেশিক সময় থেকে নানান কারণে এখানে বিভিন্ন ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত হয়ে আসছে। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন ধরণের তৃতীয় পক্ষের ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করেছেন। এর ফলে বিগত দিনে তিন পার্বত্য জেলায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।”
এছাড়া উপাচার্য তার বক্তব্যে পাহাড়ি ছাত্র সমাজ ও যুবকদের বিভ্রান্তপূর্ণ সংবাদ ও আত্মবিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয়ে আলোচনা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে দেশের সামগ্রীক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে। এছাড়া সেমিনারে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সিসিআরএসবিডি’র নির্বাহী পরিচালক চবি রাজনীাত বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ।
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিসিআরএসবিডি’র পরিচালক চবি আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, সিসিআরএসবিডি’র পরিচালক চবি ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম ও সিসিআরএসবিডি’র পরিচালক মানিকছড়ি মং রাজবাড়ির রাজকুমার সুই চিং প্রু।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিসিআরএসবিডি’র সদস্য চবি অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তন্ময়ী হাসান।