চট্টগ্রাম

পাল্টে যাছে বন্দরের ৩টি টার্মিনালের অবস্থান

দেশে আগামী ১০০ বছরের বাণিজ্য চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রামের হালিশহর সমুদ্র উপকূলে বে-টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা ও সাগরের কাছাকাছি হওয়ায় বে-টার্মিনাল কে বলা হচ্ছে আগামী দিনের বন্দর।

২০২২ সালের ডিসেম্বর পরামর্শ প্রতিষ্ঠান গুনোয়া ইঞ্জিনিয়ার টার্মিনালের মাস্টার প্ল্যান জমা দেয় কিন্তু টার্মিনালের অবস্থান আকার সহ বেশ কিছু বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে বিদেশি বিনিয়োগকারী দি আরবের রেড সি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠানের।

তাই এবার মাস্টার প্ল্যানে বেশ কিছু পরিবর্তন টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে দেড় কিলোমিটার সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এক হাজার দুইশো পঁচিশ কিলোমিটার মাঝখান থেকে এক পাশে।সবমিলিয়ে তিনটি টার্মিনালের আকার হছে প্রায় চার কিলোমিটার এর মধ্যে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল কে মাঝখান থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে এক পাশে। স্রোতের প্রতিরোধ প্রাচীর বা ব্রেক ওয়াটার থ্রো।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল দাবি করেন এতে ব্যয় আশ্রয় এবং টেকসই হবে বেশি।

তিনি বলেন,বন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বে টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া টার্মিনাল, কর্ণফুলী কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প চূড়ান্ত করে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সরকারকে । পাশাপাশি মিরসরাই-সীতাকুণ্ড-ফেনী নিয়ে দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরকে সাপোর্ট দিতে সীতাকুণ্ডে আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছে।

প্রস্তাবিত বে টার্মিনাল ৩টি ভাগে বিভক্ত হবে। যার একটি অংশ পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর বাকি দুটি অংশ ভাগাভাগি হবে পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথরিটি এবং ডিপি ওয়ার্ল্ডের মধ্যে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চলতি বছরই চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্মকর্তারা।

মাস্টার প্ল্যানের লোকেশন পরিবর্তন ও পরিসর বাড়ানোকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক ।

তিনি বলেন, মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ খুব শিগগিরই তা মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে অনুমোদন পেলেই দরপত্র আহবান করা হবে বলে জানান তিনি।

বেটার্মিনাল নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা তবে টার্মিনালের পরিশোধ পাড়ায় আরো বাড়বে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৩ মিটার গভীরতার বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে।

চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে বছরে গড়ে ৩২ লাখ কনটেইনার ও প্রায় ১২ কোটি মেট্রিক টন কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিং করছে। আর বছরে জাহাজ আসছে চার হাজারের বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d