পার্বত্য চট্টগ্রাম

পাহাড়ে কলা চাষে লাভবান হচ্ছে চাষীরা

সবুজে মোড়ানো সম্ভাবনাময় পাহাড়ের বুকজুড়ে সাজানো কলা বাগান। পাহাড়ে ১২ মাস কলা চাষ হয় বলে সব মৌসুমে এখানে কলা পাওয়া যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ে কলা চাষে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার পথে হাঁটছেন চাষিরা। রাঙামাটির বিভিন্ন প্রত্যন্ত জনপদ থেকে দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে বিপুল পরিমাণ কলা বিক্রি হয় বিভিন্ন হাট-বাজারে।

সাপ্তাহিক হাটের দিন লাখ টাকার কলা বেচাকেনা হয়। এমন চিত্রই দেখা গেছে রাঙামাটির সবচেয়ে বড় হাট লংগদুর মাইনী বাজারে। পাহাড়ে উৎপাদিত কলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাইকারদের হাত ধরে ঢাকা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

স্থানীয় বাজারে প্রতি ছড়া কলা মানভেদে ৪০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হয়। যা সমতলের জেলায় দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয়। এমনটা জানিয়েছেন নোয়াখালী থেকে আসা কলা ব্যবসায়ী মো. জহিরুল হক।

লংগদু উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড়ের মাটিতে বাংলা ও চাপা কলা ভালো হয়। এখানে কলা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে বলে তেমন পরিচর্যারও প্রয়োজন হয় না। শুধু কলা চারার আশপাশে জঙ্গল পরিষ্কারসহ মরা পাতা ও অতিরিক্ত চারা কেটে ফেললেই হয়।’ সরকারিভাবে কলা চাষিদের প্রণোদনার সুযোগ থাকলে তাদের দেয়া হবে এবং কৃষি অফিস কর্তৃক চাষাবাদ সম্পর্কিত সকল পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d