পুরোদমে উৎপাদনে যাচ্ছে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট
প্রথম ইউনিট থেকে সফলভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরুর পর এবার দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বাঁশখালীর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র- এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল রবিবার সকাল থেকে বেসরকারি খাতে দেশের বৃহত্তম এ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে বাঁশখালীর গণ্ডামারা এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট। ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার দুটি ইউনিট রয়েছে এখানে। এরমধ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। এখন দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে।
বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর আগে যেসব আনুষ্ঠানিকতা আছে, তা সরেজমিনে দেখার জন্য পিডিবির একটি প্রতিনিধিদল গত বৃহস্পতিবার এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এখন পিডিবির পক্ষ থেকে কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট (সিওডি) সনদ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি আমরা শেষ করেছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী রবিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় ইউনিটে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হতে পারে।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ভৌত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি বেসরকারি খাতে দেশের বৃহত্তম কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডে ১২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে।
এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেড বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানি, যার বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ প্রায় ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোম্পানির ৭০ শতাংশ মালিকানা বাংলাদেশের এস আলম গ্রুপের এবং বাকি ৩০ শতাংশ চীনা কোম্পানি সেপকো থ্রির।