পেকুয়ায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ফিশিংবোট থেকে ১৫ লাখ টাকার ইলিশ লুট
কক্সবাজারের পেকুয়ায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এসময় ট্রলার থেকে ১৫ লাখ টাকার ইলিশ মাছ লুট করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও উজানটিয়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী কাটাফাঁড়ি খালে এ ডাকাতি হয়।
ডাকাতি হওয়া ফিশিং ট্রলারের মাঝি আবুল কালাম বলেন, ১০ দিন আগে ২৫ মাঝি ও জেলে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায় আমরা। সাড়ে তিন হাজার পিস ইলিশ ও অন্যান্য কিছু মাছ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছায়। আমরা মাছগুলো কক্সবাজারে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিই। আবহাওয়া খারাপ হলে আমরা ভোলাখাল হয়ে মাতামুহুরী নদী পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের পথে ট্রলার চালাচ্ছিলাম। কিন্তু পেকুয়ার সুতাচোড়া ও বিলহাসুরা এলাকায় পৌঁছামাত্র ৫০-৬০ জনের একটি ডাকাত দল অস্ত্র নিয়ে আমাদের ট্রলারে হামলা করে সব মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় আমাদের ট্রলারের সব জেলেদের পিটিয়ে জখম করে তারা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিলহাসুরা এলাকার মো. কায়সার, মগনামা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা তৌহিদুল ইসলাম ও সজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র লাঠি-সোঁটা নিয়ে ফিশিং ট্রলারে হামলা করে। এ সময় ট্রলারে থাকা মাঝি ও জেলেদের পিটিয়ে জখম করে সব ইলিশ মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
ফিশিং ট্রলারের মালিক চট্টগ্রামের আনোয়ারার কাজেম আলী। ট্রলার ডাকাতির খবর পেয়ে তিনি ছুঁটে আসেন পেকুয়ায়। তিনি বলেন, প্রায় পাঁচ লাখ টাকার বাজার করে ট্রলারটি সাগরে পাঠিয়েছিলাম। আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার মাছ ধরে মাঝিমাল্লাররা ফিরেও আসছিলো। কিন্তু ডাকাত দলের খপ্পরে পড়ে সব শেষ। আমরা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
ডাকাতির ব্যাপারে জানতে অভিযুক্তদের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও সাড়া মেলেনি।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য বলেন, ফিশিং ট্রলার সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নৌ-পুলিশ দেখে থাকে। মামলা করতে হলে সেখানেই করতে হবে।