পেকুয়ায় অস্ত্র ধরে ২০ লাখ টাকার গরু লুট
কক্সবাজারের পেকুয়ায় অস্ত্রের মুখে বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে ১০টি গরু লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। গরুগুলোর সম্ভাব্য মূল্য ২০ লাখ টাকা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনাপাড়ায় মো.ফোরকানের বাড়িতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একদল দুর্বৃত্ত হানা দেয়। এ সময় তারা বাড়ির সকল সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১০টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। ফোরকান ওই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ও রাজাখালী ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি।
এ ব্যাপারে মো.ফোরকান বলেন, ‘দুই বছর ধরে আমি বাড়িতে গরুর খামার করে আসছি। খামারে ১১টি পাকিস্তানি শাহীওয়াল জাতের গরু ছিল। গভীর রাতে বাড়িতে হানা দেয় একদল দুর্বৃত্ত। তারা বাড়ির দরজায় টোকা দেয়। এ সময় আমার বাবা দরজা খুললে ৪/৫জনের অস্ত্রধারী লোকজন বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সকল সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে খামার থেকে ১০টি গরু ডাম্পার গাড়িতে তুলে লুট করে নিয়ে যায়। লুটকৃত গরুর মুল্য ১৮-২০ লাখ টাকা।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত একবছর ধরে স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যানের সাথে আমার দ্বন্দ্ব রয়েছে। লুটকারীরা ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারী। চেয়ারম্যানের পক্ষ হয়ে তারা আমার উপর একাধিকবার হামলার চেষ্টাও চালিয়েছে।’
ফোরকানের বাবা আবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ফোরকান বাড়িতে ছিল না। গভীর রাতে দরজায় টোকা দিলে আমি দরজা খুলে দিই। মনে করছিলাম ছেলে এসেছে। দরজা খোলার সাথে সাথে কয়েকজন লোক বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় আমাদের হত্যার ভয় দেখায়। খামারের ১০টি গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তবে আমরা দুজন ব্যক্তিকে চিনতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘কেউ এ বিষয়ে আমদের অবগত করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’