পেকুয়ায় দেড় ডজন মামলার আসামি গ্রেপ্তার
চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা, অন্যের জমি জবর দখলসহ নানা অপরাধের প্রায় দেড় ডজন মামলার আসামি কক্সবাজারের পেকুয়ার নুরুল আলমকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। নুরুল আলম উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের হাজিরঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
সোমবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার সাঁকোরপাড় স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পেকুয়া থানায় আসামিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা জানায়, চাঁদাবাজি, মারামারি, হত্যাচেষ্টাসহ নানা অপরাধের দেড় ডজন মামলার আসামি নুরুল আলম। তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অসহায় এলাকার মানুষ। এলাকায় ত্রাস ছড়িয়ে প্রায় দশ একর সাধারণ মানুষ ও সরকারি খাস জমি জবর দখল করেছেন তিনি। স্থানীয় সাঁকোরপাড় স্টেশনের প্রতিটি ব্যবসায়ী তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ। এছাড়া ওই স্টেশন সংলগ্ন একটি এবাদতখানা দখল করে কামারের দোকান ও সেলুন নির্মাণের মতো স্পর্শকাতর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর আগে হত্যাচেষ্টা মামলায় জেলও খেটেছেন এ আসামি।
পুলিশ জানায়, নুরুল আলমের বিরুদ্ধে কোর্টে ও থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাসিন্দা মেজবাউল হক চৌধুরী তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগ এনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত তা পেকুয়া থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করতে নির্দেশ দেন। সে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিতি নুরুল আলম গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন শান্তিকামী সাধারণ মানুষ। তাদের চাওয়া তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগের দ্রুত বিচার নিশ্চিত হোক।
পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার শিক্ষক রুহুল কাদের বলেন, নুরুল আলমের দখলবাজি আর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। কেউ তার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাকে হামলার শিকার হতে হয়। এ সন্ত্রাসীর গ্রেপ্তারে এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। আশা করবো বিজ্ঞ আদালত তার সকল মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করবেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ বলেন, নুরুল আলম নামের এক আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। তাকে নিয়মিত মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।