দেশজুড়ে

প্রতারণার নতুন ফাঁদ, টার্গেট বয়স্করা

প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে নানান বয়সের মানুষ সর্বস্বান্ত হওয়ার নজির নতুন নয়। প্রতারিতদের বেশির ভাগই তরুণ এবং বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রয়েছেন শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশার মানুষ। তবে এবার প্রতারকরা বয়স্ক মানুষকে নিজেদের টার্গেট হিসেবে বেছে নিচ্ছে। সহজেই বয়স্ক মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে।

যেভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে বয়স্কদের সঙ্গে
এই ধরনের জালিয়াতিতে প্রতারকরা নাতি-নাতনি হওয়ার ভান করে টার্গেটকৃত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে। তারপর বিশ্বাস করায় সেই ব্যক্তি কোনো সমস্যায় আছে এবং তার টাকার ভীষণ প্রয়োজন। এরপর প্রতারকরা প্রবীণ ব্যক্তির আস্থা অর্জনের জন্য গাড়ি দুর্ঘটনা, মেডিক্যাল ইমারজেন্সি বা বিদেশে গ্রেপ্তারের মতো একাধিক কারণ দেখায়। এছাড়াও এই বিষয়ে কারো সাথে আলোচনা করতেও নিষেধ করে। আর তারপর অনলাইনে টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানায়।

যদি কোনো বয়স্ক ব্যক্তি হঠাৎ দীর্ঘ সময় পর তার নাতি-নাতনিদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যের জন্য অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন পান, তাহলে তাদের বুঝতে হবে এটি একটি প্রতারণামূলক ফোন। কারণ যেকোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে সন্তানেরা প্রথমে তাদের বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ করে। তাই এই ধরনের ফোন আসলে সতর্ক থাকতে হবে।

এছাড়াও এই ধরনের কেলেঙ্কারিতে স্ক্যামারা ফোন করার পরে জরুরি পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সেই মুহূর্তেই টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দিতে থাকে। তাই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কখনোই তাড়াহুড়া করে অনলাইনে টাকা দিবেন না। ফোন করা ব্যক্তির সত্যতা যাচাই করে তারপর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

যেভাবে স্ক্যামারা থেকে নিরাপদ থাকবেন
যদি এ ধরনের স্ক্যাম থেকে নিরাপদে থাকতে চান, তাহলে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য চাওয়া ফোন পাওয়া মাত্রই পরিবারের অন্য সদস্যদের ঘটনাটি জানান। ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাস করে কখনোই কাউকে টাকা পাঠাবেন না।

অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসলে তাদের সাথে ব্যক্তিগত এবং ব্যাংকিং তথ্য শেয়ার করবেন না। এই ধরনের কেলেঙ্কারির শিকার হলে দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d